Kedarnath Yatra: টানা তুষারপাতের জের, আজও স্থগিত কেদারনাথ যাত্রা
Kedarnath Yatra Postponed: খারাপ আবহাওয়ায় যাত্রায় বিঘ্ন হওয়ায় ভক্তদের সহায়তা করার বার্তা দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
নয়াদিল্লি: টানা তুষারপাত চলছে কেদারনাথে। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলছে তুষারপাত। আবহাওয়া দফতরের তরফে ওই এলাকায় কমলা সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল বুধবারও কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঋষিকেশ, শ্রীনগর থেকে চারধাম যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ায় যাত্রায় বিঘ্ন হওয়ায় ভক্তদের সহায়তা করার বার্তা দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
যেহেতু তুষারপাত হচ্ছে, সেখানে যাতায়াত করাও সমস্যা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে ২ মে ও ৩ মে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। যা পরিস্থিতি তাতে বুধবার কেদারনাথে থাকা সম্ভব হবে না। সেই কারণেই এদিন যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে। শোনপ্রয়াগ ও গৌরিকুণ্ডে যাত্রীরা থাকছেন এদিন। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ঋষিকেশ ও শ্রীনগর থেকে যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে। এই সময়টা ঋষিকেশ পৌঁছতেও বারণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। যাঁরা এখন শ্রীনগর ও রুদ্রপ্রয়াগে রয়েছেন তাঁরাও যাতে ৪ মে সকালের আগে কেদারনাথ না যান সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের থরফে।
এরই মধ্যে যাঁরা মঙ্গলবার আগেই কেদারনাথে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা ফিরে আসবেন। রাজ্যে ডিজিপি নিজেই কেদারনাথ পৌঁছেছেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য। সেখানেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাতে যাত্রীরা গৌরিকুণ্ড ও শোনপ্রয়াগ না পেরোন। আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভাল হলে ফের যাত্রা স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এর আগেও প্রকৃতির ভয়াল রূপ দেখেছে কেদার। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ছারখার করে দিয়েছিল শিবক্ষেত্রকে। হিমালয় পর্বতমালার এই ঢালে টানা বৃষ্টি চলছে। আগামী দিনে আরও ভারী বর্ষণের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে তীর্থে এগনো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে, আগেভাগেই সতর্ক প্রশাসন।
কোথায় কবে:
১১ মার্চ থেকেই রুদ্রপ্রয়াগ জেলা প্রশাসন চারধাম যাত্রার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এই যাত্রা। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) চারধাম (Chardham) তীর্থ হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অন্যতম পবিত্র তীর্থ বলে মনে করে। চারটি স্থান নিয়ে হয় এই চারধাম যাত্রা। বদ্রীনাথ (Badrinath), কেদারনাথ (Kedarnath), গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী। হিমালয়ের উচ্চ পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত এই চারধাম বছরের ৬ মাস বন্ধ থাকে। গরমের মরসুমে এপ্রিল-মে মাস নাগাদ ওটা খোলে। শীতের আগে আবার বন্ধ হয়ে যায়। যে সময় ওই তীর্থস্থান খোলে। সেই সময়েই দর্শনার্থীদের জন্য় খুলে দেওয়া হয় মন্দির, তখনই উপচে পড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়।
আরও পড়ুন: গরমের মরসুমে চুলের পাশাপাশি কীভাবে যত্ন নেবেন স্ক্যাল্পের? রইল কিছু সহজ টিপস