CBI Director Appointment: CBI ডিরেক্টর নিয়োগে অস্বচ্ছতা! চয়নপ্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুললেন অধীর
Adhir Ranjan Chowdhury: পরবর্তী CBI প্রধান চয়ন করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে শনিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ছিল।
নয়দিল্লি: রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহারের অভিযোগ। তা নিয়ে লাগাতার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সেই আবহেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI) প্রধান বাছাই নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। CBI প্রধান চয়নের পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তিনি। নতুন করে শুরু করার দাবি তুললেন (CBI Director Appointment)।
মোদির নেতৃত্বে শনিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ছিল
পরবর্তী CBI প্রধান চয়ন করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে শনিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ছিল। বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধি হিসেবে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধীর। ওই কমিটির কাছে তিন জনের নামের সুপারিশ জমা পড়েছে, কর্নাটকের ডিজিপি প্রবীণ সুদ, মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি সুধীরকুমার সাক্সেনা এবং দমকল পরিষেবা, নাগরিক প্রতিরক্ষা এবং হোমগার্ড বিভাগের তাজ হাসানের। এই চয়নপ্রক্রিয়া নিয়েই আপত্তি তুলেছেন অধীর।
শুধু তাই নয়, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অন্য একটি কমিটির বৈঠকে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগের বৈঠকও হয়। সেখানের কার্যপ্রক্রিয়া নিয়েও পত্তি তোলেন তিনি। দিল্লি সূত্রে খবর, পরবর্তী CBI প্রধান হিসেবে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং থেকে প্রায় ১১৫ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল, যাঁরা প্য়ানেলের অংশ নন, এমন কিছু নামও ছিল। অধীরের দাবি, যে তিনজনকে দৌড়ে রাখা হয়েছে, তাঁদের সার্ভিস রেকর্ড-সহ অন্য নথিপত্র এবং তথ্য দেওয়া হয়নি তাঁকে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও ওই কমিটির অংশ, যারা CBI প্রধান নিয়োগ করে। ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগকারী কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অধীরের আপত্তি শুনে প্রধান বিচারপতি অভিজ্ঞতাকে মাপকাঠি হিসেবে ধরার পরামর্শ দেন। তাতে যএ নমের তলিকা উঠে আসে, তা নিয়েও আপত্তি জানান অধীর। তালিকায় অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নতুন করে তালিকা তৈরির দাবি জানান। মহিলা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকেও কিছু নাম তালিকায় রাখার সুপারিশ করেন অধীর।
আরও পড়ুন: Loksabha Election: কর্নাটক হাতছাড়া বিজেপির, পরপর জয় কংগ্রেসের, লোকসভা ভোটে কী ইঙ্গিত?
অধীরের এই দাবি মেনেই পরে তাজ হাসানের নাম যুক্ত করা হয় বলে দিল্লি সূত্রে খবর। পরবর্তী CBI প্রধান নিযুক্তিতে তিন জনের ওই তালিকা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটির কাছে। তবে তালিকা তৈরিতে অসচ্ছত্বতা রয়েছে বলেই নিজের দাবিতে অনড় অধীর।
যে তিন জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে, তার মধ্যে প্রবীণ ১৯৮৬ সালের আইপিএস অফিসার। মার্চ মাসে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার অভিযোগ করেন যে, প্রবীণ আসলে রাজ্যের বিজেপি সরকারের প্রতি সদয়। কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে একের পর এক মামলা দায়ের করায় প্রবীণের গ্রেফতারির দাবিও জানান শিবকুমার। শনিবারই কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত পরবর্তী CBI প্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রবীণই।
মূলত দু’বছরের জন্য মেয়াদ নির্ধারিত থাকে
বর্তমানে দেশের CBI প্রধান সুবোধকুমার জয়সওয়াল। আগামী ২৫ মে তাঁর দু’বছরের মেয়াদ পূর্ণ হবে। প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রধান বিচারপতি এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে গঠিত CBI প্রধান নিযুক্ত করেন। মূলত দু’বছরের জন্য মেয়াদ নির্ধারিত থাকে। পরে প্রয়োজন পড়লে তা বাড়ানো হতে পারে পাঁচ বছর পর্যন্ত।