Coochbehar news: করোনা আবহেই স্কুলে সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের দাবি, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
রাজ্যে ফের করোনার কড়া বিধিনিষেধ! বন্ধ হয়েছে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে স্কুলে সোমবার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Corona)। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারের (Coochbehar) তুফানগঞ্জে (Tufanganj) স্কুলে সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা। বিক্ষোভের সময় অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক। উধাও দূরত্ব বিধি। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান করার আশ্বাস দিলে ২ঘণ্টা পর ওঠে অবরোধ।
ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ (Covid Graph)! রাজ্যে ফের করোনার কড়া বিধিনিষেধ! বন্ধ হয়েছে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে স্কুলে সোমবার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা।
বিক্ষোভের সময় শিকেয় উঠল দূরত্ব বিধি। অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক। বিক্ষোভের সময় এই ছবি উঠে আসার পরেও, করোনা পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান করার দাবি নিয়ে আজব যুক্তি বলরামপুর হাইস্কুলের পড়ুয়াদের।
তুফানগঞ্জের বলরামপুর হাইস্কুলের ছাত্রীর কথায়, দীর্ঘদিন এদিনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কোভিড বিধি মেনে কেন করা যাবে না। ২৫ ডিসেম্বর ১ জানুয়ারি পালন হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও বিডিও। বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার জন্য বোঝানো হয় পড়ুয়াদের। কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষ ছোট করে অনুষ্ঠান করার আশ্বাস দিলে, তবেই অবরোধ তোলে পড়ুয়ারা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জিত দেবনাথের কথায়, পড়ুয়াদের আবেগের কথা মেনে। ৫০ জনকে নিয়ে ছোট করে একটি অনুষ্ঠান করা হবে। পড়ুয়াদের অবরোধের জেরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় বলরামপুর থেকে তুফানগঞ্জে যাওয়ার রাস্তায়।
উল্লেখ্য, করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে স্কুলে পঠনপাঠন আপাতত বন্ধ। তবে জানানো হয়েছে, শিক্ষকরা চাইলে পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়াশোনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারবেন। দিতে পারবেন স্কুল অ্যাক্টিভিটিজ নিয়ে পরামর্শ। স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন হবে অনলাইনে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল স্কুল শিক্ষা দফতর ও উচ্চ শিক্ষা দফতর।
গতকাল মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, সমস্ত স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। স্কুলের প্রশাসনের সঙ্গে যুক্তরা ৫০ শতাংশ উপস্থিত থাকবে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সবে স্কুলে চালু হয়েছিল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি ক্লাস! খুলেছিল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু, ফের করোনার দাপটে সোমবার থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফ লাইন ক্লাস বন্ধ করে দিল রাজ্য সরকার।
এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্বার্থে কয়েকদফা নির্দেশিকা জারি করে আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর ও উচ্চ শিক্ষা দফতর। তাতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আপাতত পঠনপাঠন চলবে অনলাইনে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাও হবে অনলাইনে।
স্কুল শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুলের শিক্ষকরা চাইলে পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পড়াশোনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারবেন এবং গাইড করতে পারবেন। আর বিজ্ঞপ্তির এই অংশটি নিয়েই শিক্ষক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন।