Corona Lockdown Again: ভয় বাড়াচ্ছে করোনা, আজ মধ্যপ্রদেশের তিন শহরে লকডাউন
এই লকডাউন পর্বে ছাড় দেওয়া হয়েছে অত্যাবশ্যক পরিষেবাগুলিকে। সেই সঙ্গে অসুস্থদের যাতায়াত ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলির পরীক্ষার্থীদের বিমানবন্দর পর্যন্ত ও সেখান থেকে পরিবহণে ছাড় দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের এই পর্বে রেল স্টেশনগুলিতেও স্বাভাবিক কাজকর্ম চলবে।
ভোপাল: করোনাভাইরাস সংক্রমণে সাম্প্রতিক বাড়বাড়ন্তের পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশ সরকার রাজ্যের তিন বড় শহর ইন্দোর, ভোপাল ও জবলপুরে একদিনের লকডাউনের ঘোষণা করেছে। আজ ওই তিন শহরে লকডাউন। শনিবার রাত ১০ টা থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। চলবে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত। সরকার আরও ঘোষণা করেছে, এই তিন শহরে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত প্রতি রবিবার লকডাউন চলবে। এই তিন শহরে ইতিমধ্যেই নাইট কার্ফু রয়েছে। তা গত ১৫ মার্চ জারি হয়।
এই লকডাউন পর্বে ছাড় দেওয়া হয়েছে অত্যাবশ্যক পরিষেবাগুলিকে। সেই সঙ্গে অসুস্থদের যাতায়াত ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলির পরীক্ষার্থীদের বিমানবন্দর পর্যন্ত ও সেখান থেকে পরিবহণে ছাড় দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের এই পর্বে রেল স্টেশনগুলিতেও স্বাভাবিক কাজকর্ম চলবে।
রাজ্যে করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতির সাম্প্রতিক পর্যালোচনা বৈঠকের পর এই লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বৈঠক গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের সভাপতিত্বে হয়েছিল। বৈঠকের পর ঘোষণা করা হয়েছিল যে, ওই তিন শহরে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকবে। তবে পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ীই পরীক্ষা নেওয়ার কাজ চলবে।
মধ্যপ্রদেশ সরকার মহারাষ্ট্র থেকে ও মহারাষ্ট্র পর্যন্ত বাস চলাচলও নিষিদ্ধ করেছে। মহারাষ্ট্র থেকে যাঁরা বিমানে আসছেন, তাঁদের রাজ্যে পৌঁছনোর পর নেগেটিভ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট জমা দিতে হবে। মহারাষ্ট্রের করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রকোপের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রক শনিবার জানায় , দেশের আটটি রাজ্যে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশও। মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়, আটটি রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাত, কর্ণাটক ও হরিয়ানা।
গত শনিবার মধ্যপ্রদেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ১,৩৮০। সবমিলিয়ে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭৪,৪০৫। শনিবার করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ২। সবমিলিয়ে করোনায় রাজ্যের মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩,৯০৩। সক্রিয় আক্রান্ত ৭,৩৪৪। সুস্থ ২,৬৩,১৫৮।