Karnataka on Coronavirus : টেস্টের পর পজিটিভ দেখে পালিয়ে গেলে, বিপদ !
কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ দেখলেই বাড়ি ছাড়ছিলেন বহু রোগী। এমনকী মোবাইল সুইচ অফের ঘটনা ঘটছিল আখচার। এবার রাজ্যবাসীর এই প্রবণতার কথা মাথায় রেছে, কড়া নির্দেশিকা জারি হল কর্ণাটকে।
বেঙ্গালুরু : রাজ্যের 'পলাতক' কোভিড রোগীদের শায়েস্তা করতে নয়া নির্দেশ জারি হল কর্ণাটকে। এবার থেকে কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ দেখে পালালে, ডিএম আইনে মামলা করবে সরকার। খোদ টুইটারে এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের ডিজিপি প্রবীণ সুদ।
রাজ্যে করোনা শুরু হতেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল পলাতকের সংখ্যা। কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ দেখলেই বাড়ি ছাড়ছিলেন বহু রোগী। এমনকী মোবাইল সুইচ অফের ঘটনা ঘটছিল আকছাড়। যার জেরে বেড়ে যাচ্ছিল সংক্রমণের আশঙ্কা। এবার রাজ্যবাসীর এই প্রবণতার কথা মাথায় রেখে, কড়া নির্দেশিকা জারি হল কর্ণাটকে।
টুইটারে কর্ণাটকের ডিজিপি লিখেছেন, ''কোভিডকালে সবাইকে লকডাউনের নিয়ম মেনে বাড়িতে থাকতে হবে। কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ দেখে একজন ম্যাক্সিমাম ফোন সুইচ অফ করে পালিয়ে যেতে পারেন। তাঁকে পুলিশ ঠিক খুঁজে বের করে আনবে। পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য ডিএম অ্যাক্ট অনুয়ায়ী মামলা করা হবে। কোভিড পজিটিভ হলেও অনেকের উপসর্গ নাই থাকতে পারে। কিন্তু তাঁরা সমাজকে সংক্রমিত করতে পারেন। তাই দায়িত্ববান হোন ও ঘরে থাকুন।''
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, কর্ণাটকে বর্তমানে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩,৪৯,৫১৫ জন। গত বছর করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও রাজ্যে সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ১৫,৩০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০,৬১২ জন। একদিনে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২৭০ জনের।
বৃহস্পতিবারই কর্ণাটকের রাজস্ব মন্ত্রী আর অশোকা বলেন,'' রাজ্যের ২০০০-৩০০০ জন কোভিড আক্রান্ত তাঁদের ফোন সুইচ অফ করে রেখেছেন। বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাঁরা। এঁদের থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। পরবর্তীকালে এঁদেরই আইসিইউ বেডের জন্য ছোটাছুটি করতে হবে। পুলিশ এই বিশাল সংখ্যক কোভিড আক্রান্তদের খুঁজছে।''
একই কথা শোনা যায়, কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকরের মুখে। তিনি বলেন, ''কোভিড মহামারী শুরুর থেকেই এই ধরনের সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে বেঙ্গালুরু। প্রায় ২০ শতাংশ কোভিড রোগীই সরকারের ফোন ধরে না। যার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। পরে অনেক সময় পুলিশ এদের শনাক্ত করে। যদিও আক্রান্তদের মধ্যে কিছু রোগী ততক্ষণে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন। নিজের সঙ্গে সেই রাজ্যে করোনার সংক্রমণকেও নিয়ে যান তাঁরা।''