মৃতদেহ সৎকার-বিতর্ক: 'মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রায়শ্চিত্ত করুন', মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ট্যুইট রাজ্যপালের, পাল্টা কল্যাণ
"প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে ভাবুন, মৃত ১৪ জনের মধ্যে যদি কেউ আপনার আত্মীয় হতেন?.." বলেছেন ধনকড়
কলকাতা: গড়িয়ায় দাবিদারহীন মৃতদেহ সৎকারের ঘটনায় ফের রাজ্যকে খোঁচা রাজ্যপালের। জগদীপ ধনকড় প্রথমে ট্যুইট করেন, মৃতদেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভয়ঙ্কর। এই ঘটনা বহুদিন আমাদের তাড়া করবে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রায়শ্চিত্ত করুন। এই বর্বরতা মানবতার কলঙ্ক। তিনি আরও বলেছেন, ভিডিওটিকে ভুয়ো বলা ক্ষমাহীন ভুল। নির্লজ্জভাবে অপমানের পরেও ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে।
আঁকশি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে মানুষের দেহ নিয়ে যাওয়ার ভয়াবহ, অকল্পনীয় দৃশ্য বহুদিন অমলিন থাকবে। @MamataOfficial এর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। এই বর্বরতার কলঙ্ক মোছা মুশকিল। মৃতদেহ সৎকার একটি পবিত্র কর্ম।(1/3)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 14, 2020
সেই ভিডিওগুলি নকল বলা ক্ষমাহীন ভুল। ওই দেহগুলির প্রতি নির্লজ্জ অপমান। @MamataOfficial এর দূর নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় যাঁরা এসব বলছেন তাঁরা মানুষের ক্রোধ বুজতে পারছেন না। এ নিয়ে কিছু বলার আগে ভাবুন, যদি ওই ১৪ জনের কেউ এক জন আপনার নিকট কেউ হতেন?(2/3)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 14, 2020
তিনি আরও লেখেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি, যাঁদের অঙ্গুলি হেলনে এই প্রতিক্রিয়া, তাঁরা কল্পনাও করতে পারছেন না যে, এই অপরাধের জন্য সাধারণ মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ। প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে ভাবুন, মৃত ১৪ জনের মধ্যে যদি কেউ আপনার আত্মীয় হতেন। রাজ্যপাল আরও ট্যুইট করেছেন, আশা করব, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং কলকাতা পুরসভার কাছ থেকে যত শীঘ্র সম্ভব বিশদ তথ্য পাব। চেয়ার পার্সন ফিরহাদ হাকিম, আশা করব, এই ভয়ঙ্কর ঘটনা সম্পর্কে আপনি আমাকে দ্রুত সমস্ত কিছু জানাবেন। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। তথ্য গোপন করলে ফল হবে মারাত্মক।
রাজ্যের HomeSecretaryWB এবং কলকাতা পুরসভার কাছে যা জানতে চেয়েছি, আশাকরি দ্রুত তা জানানো হবে। আশা করি,পুর প্রশাসক @FiradHakim পরিস্থিতি জানিয়ে যাবেন। সংবেদনশীল এবং আবেগপূর্ণ এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার মূল্য 'এমএপি'ত্রয়ীকে দিতে হবে।(3/3)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 14, 2020
উল্টে রাজ্যপালকে দেশের সবচেয়ে বড় সংবিধান লঙ্ঘনকারী বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দেশে সবচেয়ে বড় সংবিধান লঙ্ঘনকারী বাংলার রাজ্যপাল। পাল্টা কল্যাণকে একহাত নেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। বলেন, তৃণমূলের আক্রমণের পদ্ধতিই অসাংবিধানিক।