Darjeeling Jomjomat: ফেলুদার শ্যুটিং করতে গিয়ে কখনও হ্যারি পটার, কখনও স্নেপ হচ্ছেন সৃজিত!
দার্জিলিং-এ জমজমাট শ্যুটিং। পাহাড়ে বাঁকে জমে উঠলে রহস্য। আর যাঁকে ঘিরে গল্প, তিনি বাঙালির নস্ট্যালজিয়া। 'ফেলুদা'। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে ওটিটিতে আসতে চলেছে 'দার্জিলিং জমজমাট'।
কলকাতা: দার্জিলিং-এ জমজমাট শ্যুটিং। পাহাড়ে বাঁকে জমে উঠলে রহস্য। আর যাঁকে ঘিরে গল্প, তিনি বাঙালির নস্ট্যালজিয়া। 'ফেলুদা'। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherjee) হাত ধরে ওটিটিতে আসতে চলেছে 'দার্জিলিং জমজমাট'। ফেলুদার ভূমিকায় রয়েছেন টোটা রায় চৌধুরী (Tota Roy Chowdhury)।
শ্যুটিং শুরুর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেলুদার ছবি পরিচালনা নিয়ে নস্ট্যালজিক পোস্ট করেছিলেন পরিচালক। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং পাড়ি দিয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্য়ায়, টোটা রায় চৌধুরী ও অনির্বাণ চক্রবর্তী। শুরু হয়ে গিয়েছে শ্যুটিংও। শ্যুটিং শুরুর আগের রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সৃজিত লিখেছিলেন, 'যখন ফেলুদা শ্যুটিং করি তখন আমি সবচেয়ে সুখী মানুষ হয়ে যাই। কারণ আগামীকাল থেকে সেই ১০ বছরের ছেলেটা এসে আমার পাশে বসবে যে ৫/10 ইন্দ্র রায় রোডে জন্মেছিল। যে শ্রী হরি দোকানটা থেকে তার স্কুলের টিফিন কিনত, বিজলি সিনেমায় বৈদুর্য্য রহস্য দেখত আর ভবানীপুর বুক ব্যুরো থেকে ফেলুদার পাতলা পাতলা বইগুলো কিনে আনত। সেই ছেলেটা কাল থেকে আমার পাশে বসবে, মনিটরে চোখ রাখবে আর আমার সঙ্গে হাসবে, আমার সঙ্গে কাঁদবে। কারণ আমরা আমাদের স্মৃতিগুলোকে পুননির্মাণ করছি।'
আরও পড়ুন: একদিকে সোনাদা, অন্যদিকে ব্যোমকেশ, একদিনে জোড়া ছবির মহরত সারলেন আবির
কেবল এটুকুই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্যুটিংয়ের বিভিন্ন ধাপের ছবি পোস্ট করেছেন সৃজিত। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোথাও লাল, কোথাও সাদা শীতপোশাকে নির্দেশ দিচ্ছেন পরিচালক। পোশাকের সঙ্গে হ্যারি পটারের ছবির তুলনা চেনেছেন তিনি। নিজেকে কখনও হ্যারি কখনও স্নেপ বলে দাবি করেছেন সৃজিত। আর কেবল দাবিই নয়, সত্যিই তাঁর পোশাকে দেখা গেল গ্রিফিনডোর ও স্লিদারিন-এর চিহ্ন।
এই প্রথম নয়, এর আগেও 'ফেলুদা ফেরত'-এ টোটাকে ফেলুদার ভূমিকায় দেখেছেন দর্শক। 'ছিন্নমস্তার অভিশাপ'-এর গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল 'ফেলুদা ফেরত'। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সব্যসাচী চক্রবর্তী। ফেলুদার চরিত্র নিয়ে মানুষের তো প্রচুর আশা, কল্পনা। দর্শকদের সেই আশা পূরণ করা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? এবিপি লাইভকে টোটা বলেছিলেন, 'সত্যি বলতে সেটা আমার পক্ষে অসম্ভব ছিল। সৌমিত্রবাবু বা সব্যসাচী চক্রবর্তী যা করেছেন আমার পক্ষে তার ২০ শতাংশও করা সম্ভব ছিল না। আমার সেই ক্ষমতাই নেই। আমি কেবল আমার অভিনেতা সত্ত্বাটিকে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের হাতে সঁপে দিয়েছিলাম। উনি যেমন করে বলেছেন আমি যতটা সম্ভব সেটাই করার চেষ্টা করেছি।'
">