কয়েন আটকে শিশুর খাদ্যনালীতে, তিন দিন টানাপোড়েনের পর নৈহাটির নার্সিংহোমে সফল অস্ত্রোপচার
করোনাকালে হল এই সফল অস্ত্রোপচার।তিন দিন ধরে ছোটাছুটির পর নৈহাটির নার্সিংহোমে আড়াই বছরের শিশু কন্যার খাদ্যনালি থেকে বের হল এক টাকার কয়েন।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: কয়েন আটকে আড়াই বছরের শিশুর খাদ্যনালীতে। তিন দিন টানাপোড়েনের পর নৈহাটির নার্সিংহোমে সফল অস্ত্রোপচার। খাদ্যনালী থেকে বের করা হল এক টাকার কয়েন।
করোনাকালে হল এই সফল অস্ত্রোপচার।তিন দিন ধরে ছোটাছুটির পর নৈহাটির নার্সিংহোমে আড়াই বছরের শিশু কন্যার খাদ্যনালি থেকে বের হল এক টাকার কয়েন।
গাইঘাটার শিমুলিয়ার ওই শিশুর পরিবারের দাবি,শনিবার রাতে খেলতে খেলতে গলায় এক টাকার কয়েন মুখে পুরে দিলে আটকে যায় খাদ্যনালিতে। শিশুটির শরীরে অস্বস্তি দেখা যায়। মা জানতে চাওয়ায় সে বলে, কয়েন পেটে চলে গিয়েছে। মা চেষ্টা করেও গলা থেকে কয়েনটি বের করতে পারেননি। এরপর ওই শিশুটির বাবা-মা চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।
শিশুর বাবা দিন মজুরের কাজ করেন।স্থানীয় এক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে হতদরিদ্র পরিবার। কিন্তু, ওই চিকিৎসক কিছু করতে পারেননি। রবিবার শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে এক্স-রে করলে দেখা যায়, খাদ্যনালীর মুখে কয়েনটি আটকে রয়েছে। বলা হয়, এ ধরনের চিকিৎসার পরিকাঠামো এখানে নেই। শিশুটিকে আরজি কর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এরপর শুরু হয় টানাপোড়েন।শিশুর পরিবারের দাবি, করোনা আবহে কলকাতায় আসতে প্রচুর টাকা ভাড়া চায় অ্যাম্বুল্যান্স। শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, সব কিছুই বন্ধ। কীভাবে বলকাতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে, তা ভাবতে পারছিলাম না। অ্যাম্বূলেন্স অনেক টাকা ভাড়া চায়।
সামর্থ্য না থাকায়, শিশুটিকে কল্যাণীর বিভিন্ন নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, কেউ কোনও সুরাহা করতে পারেনি।এরমধ্যে, শিশুটি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। শুরু হয় বমি।
মঙ্গলবার সকালে শিশুটিকে নৈহাটির এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে এন্ডোস্কপির মাধ্যমে খাদ্যনালীর মুখে থাকা কয়েনটি বের করা হয়।
এখন শিশুটি সুস্থ। খাদ্যনালি থেকে কয়েন বের করা সম্ভব হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন শিশুটির বাবা-মা। তাঁরা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।