গুলিবিদ্ধ প্রাক্তন উপ পুর প্রধান, বাঁশবেড়িয়ায় পুর প্রশাসক বদল
গতকাল বাঁশবেড়িয়ায় গুলিবিদ্ধ হন পুরসভার প্রাক্তন উপ পুর প্রধান
হুগলি: হুগলির বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন উপ পুর প্রধানের ওপর গুলিকাণ্ডের পরই প্রশাসক বদল। নতুন প্রশাসক হলেন গুলিবিদ্ধ প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী। গতকাল বাজার করতে গিয়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর ওপর হামলার জন্য বাঁশবেড়িয়া পুরসভার তৃণমূল প্রশাসকের স্বামী সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনাকে দায়ী করেন গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা। এরপরই সরানো হয় সোনা শীলের স্ত্রী পুর প্রশাসক অরিজিতা শীলকে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, আগেই সোনা শীলকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। গুলিকাণ্ডে তিনিই মূল অভিযুক্ত হওয়ায় তাঁর স্ত্রীকে প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বাজার করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন হুগলির বাঁশবেড়িয়া পুরসভার উপ পুর প্রধান। ফলের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকার সময় পিছন থেকে গুলি করে দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে যার নাম উঠে এসেছে, তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। দুই তৃণমূল বিধায়কের দুরকম মন্তব্যে তা অন্য মাত্রা পেয়েছে।
বেলতলা বাজারে একটি ফলের দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক দুষ্কৃতী পিছন তাঁকে গুলি করে। তৃণমূল নেতা লুটিয়ে পড়তেই একজনের বাইকে চেপে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। কোমরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে প্রথমে বাঁশবেড়িয়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কলকাতায় রেফার করা হয় তাঁকে। তাঁর ওপর এই হামলার জন্য বাঁশবেড়িয়া পুরসভার তৃণমূল প্রশাসকের স্বামী সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনাকে দায়ী করেছেন গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা।
প্রাক্তন তৃণমূল ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন, আমার একটাই শত্রু। সোনা শীল। একটার পর একটা মিথ্যে মামলা। আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত। অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দলীয় নেতার ওপর হামলার ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, জমি নিয়ে বিবাদ। এগুলো যারা করছে, পার্টি তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। ইলেকশনের আগে এরা বিজেপি করেছে। হারানোর সব রকম চেষ্টা করেছে। বরদাস্ত করা হবে না।
কিন্তু, এর উল্টো সুর শোনা গিয়েছে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়কের গলায়। তৃণমূল বিধায়কের অসিত মজুমদার বলেন, হামলাকারীরা দলের নামে কলঙ্ক। এই কলঙ্কিত মানুষগুলোর জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদনাম হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, ৮ মাসে আগে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনাকে।