Himachal Rain: আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস! নদীগর্ভে মাথা গোঁজার ঠাঁই, ধসে বিধ্বস্ত হিমাচলে বাড়ছে মৃত্যু
Himachal Pradesh Rain: বিপদসীমার ওপর বইছে একাধিক নদী। ফুঁসছে গঙ্গা। বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবনের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাড়িঘর।
নয়া দিল্লি: মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বানে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh)। নদীতে বেড়েছে জলস্রোত। হিমাচল প্রদেশ এবং প্রতিবেশী উত্তরাখন্ডে (Uttarakhand) অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে ইতিমধ্যেই বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। ভূমিধসের (Landslide) কারণে মূল রাস্তা এবং জাতীয় সড়কেও ধস নেমেছে, যার জেরে অবরুদ্ধ হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
বিপদসীমার ওপর বইছে একাধিক নদী। ফুঁসছে গঙ্গা। বেশ কয়েকটি এলাকায় প্লাবনের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাড়িঘর। নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে একাধিক মাথা গোঁজার ঠাঁই। হিমাচলের শিমলায় দুটি ভূমিধসপূর্ণ এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪টি মৃতদেহ বের করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে পাহাড়ি ওই এলাকার শিব মন্দিরের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বেশি লোক আটকে থাকতে পারে।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ডেপুটি কমিশনার অরিন্দম চৌধুরী জানান, পবিত্র শ্রাবণ মাসে এমনিতেই শিবালয়ে ভিড় থাকে। সেই সময়ই এই দুর্যোগ নেমে আসায় মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে। এখনও আটকে থাকতে পারে একাধিক ভক্তরা। এদিকে, আবহাওয়া অফিসের তরফে জানান হয়েছে, কুল্লু, কিন্নর এবং লাহৌল এবং স্পিতি বাদে রাজ্যের ১২টি জেলার নয়টিতে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হলুদ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে বেশ কিছু এলাকায়।
আরও পড়ুন, বিপ্লবী থেকে সাধক, কারাকক্ষের অত্যাচার সহ্য করেই জীবনদর্শন বদলেছিলেন ঋষি অরবিন্দ
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) দলগুলি পার্বত্য রাজ্যে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি, এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, আইটিবিপি এবং রাজ্য পুলিশের সদস্যরা ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ করছেন। অন্যদিকে, ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত হিমাচলের আবহাওয়ার উন্নতির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানান হয়েছে মৌসম ভবনের তরফে।
হিমাচল প্রশাসন সূত্রে খবর, ২৪ জুন থেকে বর্ষা প্রবেশের পর এখনও পর্যন্ত ৭ হাজার ১৭১ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে রাজ্যটি। একাধিকবার মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসে প্রায় ৯ হাজারেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টির প্রকোপের কারণে, রাজ্য জুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াই পালন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন যে রাজ্য-স্তরের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের স্থানবদলও হয়েছে। পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ এবং বক্তৃতার মাধ্যমে সাঙ্গ হয়েছে এই বিশেষ দিনটি।