Partition Horrors Remembrance Day: দেশভাগ মানে সব হারানোর বিষাদ, স্মরণে 'পার্টিশন হররস রিমেমব্র্যান্স ডে'
History Of Partition:দেশভাগ, উদ্বাস্তু-সমস্যা, লক্ষ লক্ষ মানুষের সর্বহারা হওয়ার অতীতও তো এই আনন্দের সঙ্গে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িত।
কলকাতা: রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) । দেশের অলি-গলি থেকে রাজপথ, সর্বত্র সেজে উঠেছে 'তেরঙ্গায়'। তবে মুক্তির এই ইতিহাস কি শুধু অবিমিশ্র আনন্দের? দেশভাগ, উদ্বাস্তু-সমস্যা, লক্ষ লক্ষ মানুষের সর্বহারা হওয়ার অতীতও তো এই আনন্দের সঙ্গে ওতোপ্রোত ভাবে জড়িত। সেই অবর্ণনীয় যন্ত্রণা-বিষাদ-কষ্টের অতীত মনে রাখতেই ২০২১ সাল থেকে ১৪ আগস্ট দিনটি 'পার্টিশন হররস রিমেমব্র্যান্স ডে' (Partition Horrors Remembrance Day) হিসেবে পালন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দেশভাগের যন্ত্রণা যাঁদের ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল, তাঁদের যন্ত্রণার কথা স্মরণ করে ট্য়ুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো স্টেশনগুলিতেও দিনটি পালন করা হচ্ছে।
কী বার্তা প্রধানমন্ত্রীর?
আজ, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ট্যুইটারে যে বার্তা দেন, তাতে লেখা, 'দেশভাগ যে সব ভারতীয়ের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল, পার্টিশন হররস রিমেমব্র্যান্স ডে-তে তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার দিন। একই সঙ্গে, ভিটেমাটিহীন হয়ে পড়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে যাঁরা বাধ্য হয়েছিলেন, তাঁদের কষ্ট ও সংঘর্ষের কথাও মনে করার দিন আজ।' দেশভাগের কষ্ট যে কখনও ভোলার নয়, সে কথা অতীতেও শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর মুখে। এদিন তাঁর ট্যুইটে ফের সেই বার্তা উঠে আসে।
विभाजन विभीषिका स्मृति दिवस उन भारतवासियों को श्रद्धापूर्वक स्मरण करने का अवसर है, जिनका जीवन देश के बंटवारे की बलि चढ़ गया। इसके साथ ही यह दिन उन लोगों के कष्ट और संघर्ष की भी याद दिलाता है, जिन्हें विस्थापन का दंश झेलने को मजबूर होना पड़ा। ऐसे सभी लोगों को मेरा शत-शत नमन।
— Narendra Modi (@narendramodi) August 14, 2023
ইতিহাস...
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দীর্ঘ ঔপনেবেশিক শাসনের শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে এসেছিল ভারত। বহু আন্দোলন, রক্তক্ষয়ের বদলে এসেছিল স্বাধীনতা। তবে সঙ্গে এসেছিল দেশভাগের যন্ত্রণা। দু'টুকরো হয়ে যায় দেশ। লক্ষ লক্ষ মানুষকে আক্ষরিক অর্থেই রাতারাতি ভিটেমাটি ছেড়ে চলে আসতে হয় অন্য জায়গায়। গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ যায় বহু মানুষের। ঠাঁইনারা মানুষগুলির জন্য শুরু হয় নতুন জীবনসংগ্রাম। অবর্ণনীয় হিংসার সাক্ষী হতে হয় দু'পারের বাসিন্দাদেরই। সেই সময়টার ছবি তুলে ধরতে পুরনো দিল্লি, নয়াদিল্লি, আনন্দ বিহার এবং নিজামউদ্দিন রেলস্টেশনে ছবি এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে নর্দার্ন রেলওয়ে। রাজীব চওক মেট্রো স্টেশনেও একই ধরনের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে বলে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। বেশ কিছু সময় ধরে এই প্রদর্শনী চলবে, এমন খবরও রয়েছে। লক্ষ্য একটাই। স্বাধীনতার উদযাপনের মুহূর্তেও যেন সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই বিষাদের ইতিহাস ভুলে না যাই আমরা।
আরও পড়ুন:এবার ক্রিকেটেও লাল কার্ড! অভিনব নিয়ম চালু করছে সিপিএল কৃর্তপক্ষ