পিকের পৈত্রিক বাড়িতে বুলডোজার চালাল নীতীশ সরকার
আহিরৌলিতে ৮৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া প্রশান্ত কিশোরের বাড়ির সামনে বুলডোজার দেখে ভিড় জমে যায়। ১০ মিনিটের মধ্যে ভেঙে দেওয়া হয় বাড়ির পাঁচিল ও মূল গেট।
বক্সার: বিহারের বক্সারে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের পৈত্রিক বাড়ির একাংশ। গতকাল সকালে আহিরৌলিতে ৮৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া প্রশান্ত কিশোরের বাড়ির সামনে বুলডোজার দেখে ভিড় জমে যায়। ১০ মিনিটের মধ্যে ভেঙে দেওয়া হয় বাড়ির পাঁচিল ও মূল গেট।
এই ঘটনার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণের কোন যোগ নেই বলে প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে। তাদের দাবি, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য অধিগৃহীত জমি খালি করতেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়ির একাংশ।
যদিও প্রশাসনের দাবি সহজে মেনে নিতে নারাজ ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষ করে পিকে ও নীতিশের আগের রাজনৈতিক সম্পর্কের জেরেই তেমনটা ভাবছেন তারা। ভোটকুশলী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে প্রথমে নীতিশ শিবিরেরই সদস্য ছিলেন প্রশান্ত কিশোর।
যদিও গতবছর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কিছুটা আগে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের সঙ্গ ছাড়েন দলের আগের সহ সভাপতি প্রশান্ত কিশোর। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমারের দলকে জেতানোর পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন পিকে। যার পরেই জেডিইউতে হয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক উত্থান।
কিন্তু আগের বিধানসভা ভোটের আগে চিত্রটা ছিল একেবারেই উল্টো। কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব আইন পাশের পর থেকেই জনসমক্ষে চলে আসে তাঁর সঙ্গে নীতীশের দূরত্ব। আপাতত কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বিহারের মসনদ ধরে রেখেছেন নীতীশ। আর পিকের সঙ্গে বেড়েছে তার দূরত্ব।
আর একসময় নরেন্দ্র মোদিকেও ভোটে জেতানোর কারিগর পিকে-র উপর ফের একবার নজর রয়েছে গোটা দেশের। কারণ তিনি বঙ্গে আপাতত তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটকুশলী হিসেবে কাজ করছেন। আর চলতি বছরে রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে বিজেপি-র লড়াই আপাতত দেশজুড়ে আলোচনার বিষয়বস্তু।
এরমাঝেই বিজেপি-র সঙ্গী তথা পিকে-র প্রাক্তন দল জেডিইউ তাঁর বাড়ির পাঁচিল ভাঙার পিছনে কী কোথায় গিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও! জল্পনা কিন্তু থামছে না।
জানা গিয়েছে, পৈত্রিক বাড়িতে থাকলেও দীর্ঘদিন সেখানে থাকেন না পিকে।