Eco-Sensitive Zones: অভয়ারণ্যের আশেপাশে খনি, কারখানা নয়, কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
Supreme Court on ESZ: দেশের সর্বত্র বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এলাকা এবং পরিবেশের পক্ষে স্পর্শকাতর এলাকাগুলির নিরাপত্তার জন্য শুক্রবার বিধিনিষেধ জারি করেছে আদালত।
নয়াদিল্লি: পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণ রক্ষায় এ বার সুপ্রিম নিষেধাজ্ঞা (Supreme Court)। বন্যপ্রাণী অধ্যুষিত অভয়ারণ্যের (Wild Sanctuaries) ধারেকাছে খনি এবং কারখানা গড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল দেশের শীর্ষ আদালত। শুধু অভয়ারণ্যই নয়, জাতীয় উদ্যান (National Parks) সংলগ্ন কমপক্ষে এক কিলোমিটার এলাকায় খনি বা কারখানা গড়া যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই এক কিলোমিটার অঞ্চলকে নিরাপদ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বন্যপ্রাণ রক্ষায় কড়া বিধিনিষেধ আদালতের
দেশের সর্বত্র বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এলাকা এবং পরিবেশের পক্ষে স্পর্শকাতর এলাকাগুলির নিরাপত্তার জন্য শুক্রবার বিধিনিষেধ জারি করেছে আদালত। তাতে অভয়ারণ্যে এবং জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এলাকাকে নিরাপদ বেল চিহ্নিত করার পাশাপাশি, মুখ্য বন সংরক্ষক (Chief Conservator of Forests) -এর অনুমতি ব্যাতীত এই ধরনের কোনও রকম নির্মাণই করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কোন কোন নির্মাণকে এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায়, বর্তমানে এমন কত নির্মাণ রয়েছে তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বন সংরক্ষণ কর্তাকে। আগামী তিনমাসের মধ্যে সেই তালিকা জমা দিতে হবে তাঁদের। তবে অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যানের আশেপাশে খনি এবং কারখানার উপর সম্পূর্ণ ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এ দিন বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও, বিআর গাভাই এবং এএস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ এমন নির্দেশ দিয়েছে। অভয়ারণ্য এবং জাতীয় উদ্যান সংগ্ন এলাকায় স্থায়ী নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে ওই বেঞ্চ। সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উদ্দেশে সেই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ
বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের তাগিদে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন টিএন গোদাবর্মন নামের এক ব্যক্তি। গোদাবর্মন বনাম কেন্দ্রীয় সরকার নামক ওই মামলাতেই এমন নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে সরকারি সংস্থা, স্যাটেলিইট প্রযুক্তি এবং জ্রোনের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে আদালত।