India Corona : 'করোনা সারাতে' নিজেই ডাক্তার! মারাত্মক ক্ষতি করছেন লিভারের
কিছুতেই বাগে আসছে না পরিস্থিতি। প্রতিদিন দেশে বেড়েই চলেছে করোনা মিটার। যার জেরে বিভিন্ন রাজ্যে বেডের অভাব সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে করোনার উপসর্গ দেখেই মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন বহ মানুষ। ডাক্তারের কাছে না গিয়েই চলছে চিকিসা। ১৯ এপ্রিল 'ওয়ার্ল্ড লিভার ডে'-তে যা নিয়ে সতর্ক করলেন ডাক্তাররা।
করোনা রুখতে নিজেই 'ডাক্তারি' করছেন ? অজান্তেই মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন শরীরের। রোগ সারাতে গিয়ে উল্টে জটিল রোগের বাসা বাঁধছে লিভারে। 'ওয়ার্ল্ড লিভার ডে'-তে যা নিয়ে সাবধান করছেন ডাক্তাররা।
কিছুতেই বাগে আসছে না পরিস্থিতি। প্রতিদিন দেশে বেড়েই চলেছে করোনা মিটার। যার জেরে বিভিন্ন রাজ্যে বেডের অভাব সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে করোনার উপসর্গ দেখেই মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন বহ মানুষ। ডাক্তারের কাছে না গিয়েই চলছে চিকিসা। ১৯ এপ্রিল 'ওয়ার্ল্ড লিভার ডে'-তে যা নিয়ে সতর্ক করলেন ডাক্তাররা।
এ প্রসঙ্গে গ্লেনেগলস গ্লোবাল হসপিটালের ইন্টারনাল মেডিসিনের চিকিসক প্রশান্ত চন্দ্র জানিয়েছেন, নিজে থেকেই অনেক রোগী অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে থাকেন। বর্তমানে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো করোনার উপসর্গ দেখলেই অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলেছেন অনেকেই। তাদের বুঝতে হবে, ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে পারে না অ্যান্টিবায়োটিক। কেবল ব্যাকটিরিয়াল ইনফেকশনের ক্ষেত্রেই এই ওযুধগুলি কাজ দেয়। কোভিড১৯ রুখতে অ্যান্টিবায়োটিক কাজে আসে না।
একই সুর শোনা গিয়েছে ডজ সিটির ওয়েস্টার্ন প্লেইনস হসপিটালের ইন্টারনাল মেডিসিনের ডাক্তার অনুষা কারার মুখেও। তাঁর কথায়, বহু সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড১৯ থেকে ভাইরাল ইনফেকশন হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এই ওষুধ কেবল রোগীদের সেকেন্ডারি ভাইরাল
ইনফেকশন থেকে মুক্তির জন্যই দেওয়া হয়। যা নিতান্তই ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে দেওয়া হয়ে থাকে। এটা মনে রাখা উচিত, দেহের প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। এতে হিতে বিপরীত হয়। বহু ক্ষেত্রেই অ্যারিথমিয়াস(হার্টের রেট বেড়ে বা কমে যাওয়া) বা অন্যান্য জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টির হয়।
এ বিষয়ে একই মত এসএলজি হসপিটালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট অনিতা রেড্ডির। তাঁর বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ভালো খাবার খাওয়াটাও একটা বাজে অভ্যেস। অনেকেই এই সময় রোগ প্রতিরোধী খাবারের দিকে বেশি ঝোঁকেন। তাঁরা মেথি, হলুদ, জিঙ্ক ভিটামিন-ডি য়ুক্ত বেশি খাবার খেতে থাকেন। এটা খুবই খারাপ অভ্যেস। এরফলে রক্ত পাতলা হয়ে যায় ও লিভারের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। সেকারণে এই সময় নিজেই অ্যান্টিবায়োটিক বা রোগ প্রতিরোধী খাবার খেয়ে ডাক্তারি করা উচিত নয়। তার পরিবর্তে উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে যান।
তাহলে এই পরিস্থিতিতে কী করতে হবে ? এ প্রসঙ্গে অ্যাওয়ার গ্লেনেগলস গ্লোবাল হসপিটালের মেডিক্যাল সার্ভিসের প্রধান সুকেশ কুমার জানান, শরীরে কোভিডের লক্ষণ দেখা দিলে করোনার হটলাইনে যোগাযোগ করা উচিত। ১৪ দিন নিজেকে সবার থেকে আলাদা রাখাটাই শ্রেয়।টেস্টের
মাধ্যমে জানতে হবে আপনি পজিটিভ না নেগেটিভ। কোনও কারণে বুকে ব্যাথা বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে নিকটবর্তী কোভিড সেন্টারে যোগাযোগ করুন।