Suvendu on BJP Meeting: সকালে অমিত শাহর বাড়িতে সাক্ষাৎ, দিল্লিতে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক শুভেন্দুর
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা
নয়াদিল্লি: দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আজ সকালেই তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বাড়িতে যান। এরপর তাঁর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করার কথা।
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা শুভেন্দুর। সূত্রের খবর, রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তি ও বিজেপির ভবিষ্যত্ কর্মসূচি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
এদিকে, শুভেন্দু যখন দিল্লিতে, তখন দলের রাজ্য নেতৃত্ব বৈঠকে বসেছে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর দলের পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠকে বিজেপি।
হেস্টিংসে বিজেপির দফতরে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং দলের ভবিষ্যত্ রণকৌশল নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে এই বৈঠকে যোগ দেননি মুকুল রায়। কলকাতার বৈঠকে ভার্চুয়াল অংশ নেন শুভেন্দু বলেও সূত্রের খবর ।
ভোটের আবহে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় থেকেই গেরুয়া শিবিরে গুরুত্ব পাচ্ছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের মেগা লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে হারানোর পর দলে তাঁর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।
রাজ্য বিধানসভায় দলের স্টিয়ারিং নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর হাতেই তুলে দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা করা হয় তাঁকে। তার আগে, শুভেন্দুকে বিজেপির পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত করা হয়।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে সমর্থন জানান ২২ জন বিজেপি বিধায়ক।
দায়িত্ব পেয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, যখন ২৯ জন বিরোধী বিধায়ক ছিলেন, তখন আমি বিধানসভার সদস্য ছিলাম। ২৩৫- এর দম্ভ আমি দেখেছি, সেই পরিস্থিতি এখন নেই। আমার অঙ্গীকার হল, হিংসা মুক্ত বাংলা। শান্তির বাংলা, যে কোনও গঠনমূলক কাজে সরকারের সহযোগিতা করব।
সম্প্রতি, সাইক্লোন ইয়াসের তাণ্ডবের পর রাজ্য সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালও।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রিভিউ বৈঠকে থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুমিনিট দেখা করে বেরিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়।
মমতা পরে বলেছিলেন, আগে বলা হয়, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক হবে, পরে দেখা গেল রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা সবাই আছেন, দেখা গেল বিজেপির সবাই রয়েছে, আমি একা।
পাল্টা শুভেন্দু বলেন, উনি আমার কাছে হেরেছেন, এটা মেনে নিতে পারছেন না। আমার কিছু বক্তব্য ছিল বলে, বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমাকে আসতে বলা হয়। অধীরকেও ডাকা হয়েছিল।