নয়াদিল্লি: পাইকারি মুদ্রাস্ফীতিতে ফের সর্বকালীন রেকর্ড (Wholesale Inflation Rate)। এ বার কেন্দ্রী পরিসংখ্যানেই উঠে এল ভয়ঙ্কর চিত্র। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক (Ministry of Commerce) যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী, মে মাসে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ১৫.৮৮ শতাংশে পৌঁছয়। শাক-সবজি, ফলমূল, দুধ, যন্ত্রাংশ, জ্বালানি, অপরিশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়াতেই মুদ্রাস্ফীতি লাগাতার বেড়ে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। 


এর আগে এপ্রিল মাসে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির সূচক ছিল ১৫.০৮ শতাংশে। গত বছর মে মাসে ১৩.১১ শতাংশ ছিল মুদ্রীস্ফীতির হার। 



মুদ্রাস্ফীতির সূচক নয়া রেকর্ড ছুঁল



এই নিয়ে টানা ১৪ মাস পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি দুই সংখ্যাতেই রইল। সোমবারই কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক জানায়, গ্রাহক মূল্য সূচকে মুদ্রাস্ফীতির হার মে মাসে কমে ৭.০৪ শতাংশ হয়েছে, এপ্রিলে যা ছিল ৭.৭৯ শতাংশ। 


 

গত ন'বছরে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির সূচক এই প্রথম এত উপরে উঠল। তবে এমনটা যে হতে পারে, শুক্রবারই তার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। খুচরো  মুদ্রাস্ফীতিতেও তার প্রভাব পড়তে পারে বলে আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রাখা হয়েছিল।

 

গত সপ্তাহেই আশঙ্কার বাণী শুনিয়েছিল RBI

 

শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, শিল্পের কাঁচামালের দাম বেড়েছে। খরচ বেড়েছে তা আমদানি করারও। গোটা বিশ্বেই একই পরিস্থিতি। মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় কুপোকাত সব ক্ষেত্রই।