(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Mid Day Meal: মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিল ইন্ডিয়ান অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্ট
Special Audit: রাজ্যকে চিঠি ইন্ডিয়ান অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টের। চিঠির ভিত্তিতে শুরু মিড ডে মিলের অডিট।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: রাজ্যের মিড ডে মিল (mid day meal) নিয়ে এবার বিশেষ অডিট (special audit)। রাজ্যকে চিঠি ইন্ডিয়ান অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টের (indian audit and accounts department)। চিঠির ভিত্তিতে শুরু মিড ডে মিলের অডিট। মিড ডে মিলের অডিটে ৬ সদস্যের টিম।
বিশদ যা জানা গেল...
সূত্রের খবর, অডিট এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছু দিন আগেই রাজ্যের মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। বিভিন্ন জেলার একাধিক স্কুল ঘুরে তাঁরা রিপোর্ট দিয়েছেন। সেই পরিদর্শনের পরই রিপোর্ট দিয়েছেন তাঁরা। তবে ইন্ডিয়ান অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টের তরফে এর মধ্যেই স্কুলশিক্ষা দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, স্পেশ্যাল অডিট করতে চান তাঁরা। এই অডিট টিম বিভিন্ন জেলায় ঘুরবে, বিভিন্ন ব্লকে ঘুরবে। অর্থাৎ মিড ডে মিলের টাকা কী ভাবে খরচ হচ্ছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনায় এর মধ্যেই অডিট শুরু হয়েছে বলে খবর। তা ছাড়াও আরও চারটি জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলের তরফে, মিড ডে মিলে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এর মধ্যে পরিদর্শন হয়েছে। তার পরই বিশেষ অডিটের সিদ্ধান্ত। সরকারের তরফে অবশ্য দাবি, এটি প্রতি বছরের বিষয়। কোভিড-অতিমারীর কারণে গত বছর হয়নি। এবার হচ্ছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, অভিযোগের জেরেই এই বিশেষ অডিটের সিদ্ধান্ত।
মিড ডে মিলে অসুস্থতা...
গত ফেব্রুয়ারিতে স্কুলে মিড ডে মিল খেয়ে অসুস্থ একাধিক পড়ুয়া, কুলতলিতে স্কুলের সামনে অভিভাবকদের বিক্ষোভ। মিড ডে মিলে মাংস ভাত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে বহু ছাত্রছাত্রী, দাবি অভিভাবকদের। অসুস্থ পড়ুয়াদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই প্রথমবার নয়। মিড ডে মিল নিয়ে একাধিকবার নানা বিতর্ক তৈরি হয়। সম্প্রতি যেমন মালদার লক্ষ্মীপুর কলোনিতে স্কুলে শিক্ষকদের পাতে পড়ে চিকেনের লেগপিস আর সরু চালের ভাত। পড়ুয়াদের জন্য ভাত হয় মোটা চালের আর তরকারি হয় ছাঁট মাংস দিয়ে, এমন অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। স্কুলের মধ্যেই তালা বন্ধ করে রাখা হয় শিক্ষকদের। এর আগে কখনও মিড ডে মিলে ডালের বালতির মধ্যে পড়েছে সাপ। কখনও আরশোলা। কখনও উঠেছে মজুত চালে মরা টিকটিকি ও ইঁদুর মেলার অভিযোগ। আবার কখনও অভিযোগ উঠেছে, মিড ডে মিলের খিচুড়িতে টিকটিকি পড়ার!
আরও পড়ুন:কোচবিহারে বিজেপি বিধায়ককে কালো পতাকা দেখিয়ে 'গো ব্যাক' স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের