Coochbehar: কোচবিহারে বিজেপি বিধায়ককে কালো পতাকা দেখিয়ে 'গো ব্যাক' স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের
Coochbehar News: আজ সকালে কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ঘুঘুমারিতে বুথ স্বশক্তিকরণ কর্মসূচিতে গিয়ে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে ফের এক বিজেপি বিধায়ককে কালো পতাকা দেখিয়ে, গো ব্যাক স্লোগান দিলেন তৃণমূল কর্মীরা। আজ সকালে কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ঘুঘুমারিতে বুথ স্বশক্তিকরণ কর্মসূচিতে গিয়ে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজেপি বিধায়কের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতির পাল্টা দাবি, বিধায়ক এলাকায় যান না। ১০০ দিনের টাকা মেলেনি। তাই নিয়েই জনরোষের মুখে পড়েছেন বিজেপি বিধায়ক।
সাগরদিঘিতে গো ব্যাক স্লোগান:
সাগরদিঘিতে ভোটপ্রচারের সময় কালো পতাকা দেখানো হয়েছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। সাগরদিঘিতে ভোটপ্রচারে (Vote Campaign) গিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের (TMC Agitation) মুখে পড়েন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কালো পতাকা, 'গো ব্যাক' স্লোগান (Go Back Slogan)। সাগরদিঘিতে এর আগে একই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। তার কনভয় যাওয়ার সময়ও তোলা হয়েছে গো ব্যাক স্লোগান। সাগরদিঘিতে ভোটপ্রচারে গিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেখিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগরদিঘি থেকে অভিষেকের মন্তব্য করেছিলেন, ২০২১-এর ভোটের (Election) থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সাগরদিঘির উপনির্বাচন । সিপিএম -কংগ্রেস-বিজেপির অশুভ আঁতাঁতকে জবাব দেওয়ার সময় এসেছে । মীরজাফরদের হারাতে হবে । একটা বুথেও তৃণমূল হারলে, সেটা হবে মীরজাফরের বুথ । ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র, বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের যে মন্তব্যের পরই সাগরদিঘিতে প্রচারে গিয়ে ঘাসফুল শিবিরের কর্মীদের থেকে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয় শুভেন্দুকে।
এর আগে স্লোগান দিলীপ ঘোষকেও:
কোচবিহারের তুফানগঞ্জে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) গো ব্যাক স্লোগান দিয়ে কালো পতাকা দেখানো হয়। দলীয় সভায় যাওয়ার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন।পাশাপাশি সেখানে সভা থেকে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলকে নিশানা করতে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের বাড়ির দরজায় লাথি মারার, বাড়ি থেকে বেরোলে বেঁধে রাখার মতো বিতর্কিত দাওয়াইও গিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে পাহাড়ে:
এর আগে উত্তরবঙ্গে হামলা হয়েছিল দিলীপ ঘোষের উপরে। সেটা ২০১৭ সাল। সেই সময় রাজ্য সভাপতি পদে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। দার্জিলিংয়ে সভা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর সঙ্গীদের উপর হামলা হয়। অভিযোগ উঠেছিল বিনয় তামাং অনুগামীদের দিকে। মারমুখী বিনয় তামাং অনুগামীদের থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছিলেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী আগুনে সর্বস্বান্ত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার, পুড়ে ছাই বাড়ি-আসবাব-টাকা