এক্সপ্লোর
Advertisement
করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সায় নিযুক্ত চিনের নার্সের চমকপ্রদ আবদার! সাড়া ফেলল সোশ্যাল মিডিয়ায়
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই চালাচ্ছে চিন। সে দেশে ইতিমধ্যেই অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই মহামারীতে। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিত্সার কাজে একযোগে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন চিনের চিকিত্সক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা।
নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই চালাচ্ছে চিন। সে দেশে ইতিমধ্যেই অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই মহামারীতে। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিত্সার কাজে একযোগে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন চিনের চিকিত্সক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। আক্রান্তদের চিকিত্সার কাজে ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু এই লড়াইয়ের মধ্যেও ইতিবাচক মানসিকতার অভাব নেই অনেকেরই মধ্যে। এরইমধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিত্সার কাজে নিযুক্ত এক নার্সের চমকপ্রদ আবদার সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর কেড়েছে। উহানের টিয়ান ফ্যাংফ্যাং নামে ৩০ বছরের ওই নার্স বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর প্রকোপ বন্ধ হওয়ার পর কেউ তাঁকে একজন বয়ফ্রেন্ড যোগাড় করে দেবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করেছেন টিয়ান। ছবিতে তাঁকে হ্যাজমেট শ্যুট পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে, হাতে একটি নোট। ওই নোটে লেখা রয়েছে, মহামারী শেষ হয়ে গেলে আশা করছি কেউ আমাকে একটা বয়ফ্রেন্ড যোগাড় করে দেবে।
চিনের মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবো-তে ওই ছবি শেয়ার করার পরই ভাইরাল হয়ে যায়।
টিয়ান তাঁর এক সহকর্মীর কাছ থেকে এর প্রেরণা পেয়েছেন। টিয়ানের সহকর্মী এক নার্স তাঁর হ্যাজমেট শ্যুটে লিখেছিলেন যে, তিনি একজন বয়ফ্রেন্ড চাইছেন।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে টিয়ান বলেছেন, তাঁর একজন লম্বা বয়ফ্রেন্ড দরকার। কারণ, তাঁর উচ্চতা পাঁচ ফুচ ছয় ইঞ্চি।
এই ছবি পোস্ট করার কারণও জানিয়েছেন টিয়ান। করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে যখন সবাই আতঙ্কিত, তখন লোকজনকে ইতিবাচক থাকতে উত্সাহ দিতেই তিনি ওই ছবি পোস্ট করেছেন বলে জানিয়েছেন টিয়ান।
টিয়ান জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাঁর প্রধান কর্তব্য মারাত্মক করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের শুশ্রুষা করা। ওয়েইবো-তে টিয়ান লিখেছেন, তাঁর একজন সঙ্গী প্রয়োজন। কিন্তু এখন একজন নার্সের যে কর্তব্য হওয়া উচিত, তা পালনই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, প্রথম কর্মী হিসেবে এই দায়িত্ব পালনের জন্য যাঁরাএগিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে টিয়ানও ছিলেন বলে খবর। টিয়ানের বাবাও ছিলেন একজন মেডিক্যাল কর্মী। ২০০৩-এ সার্স-এর প্রাদুর্ভাবের সময় লড়াইয়ে সাহায্য করেছিলেন। টিয়ানের ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিত্সার কাজে নিযুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন তাঁর বাবা-মা।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement