Rachana Banerjee: আগামী বছর ছেলের উচ্চ মাধ্যমিক, জগদ্ধাত্রীর কাছে প্রার্থনা রচনার, 'যেনও পাশ করে যায়..'
TMC MP Rachna In Jagadhatri Puja 2024: জগদ্ধাত্রী পুজোয় উপস্থিত রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজের কেন্দ্রে গিয়ে কী বললেন হুগলির সাংসদ ?
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: হুগলির পান্ডুয়াতে তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষের জগদ্ধাত্রী পুজোয় উপস্থিত হন অভিনেত্রী তথা হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট প্রচারে চন্দননগর এলেও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী ঠাকুর মণ্ডপে এসে কোনওদিনও দেখা হয়নি। তাই এবারে ইচ্ছা আছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখার। তবে পুজোর কটা দিন চন্দননগর থাকতে পারবেন না, দিদি নম্বর ওয়ানের শুটিংয়ের জন্য। 'ছেলে যেনও পাশ করে যায়', জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
পান্ডুয়ায় কালী পুজোর উদ্বোধনে আসার কথা থাকলেও শরীর খারাপ থাকায় আসতে পারেননি। জগদ্ধাত্রী পুজোয় উপস্থিত হয়ে ছেলে যাতে পরীক্ষায় পাশ করে তার আশীর্বাদ চাইলেন রচনা। রচনার ছেলে প্রনীল বসু আগামী বছর উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'যে মানুষগুলো আমার উপর আস্থা রাখে, যারা আমাকে ভোট দিয়ে আমার উপর ভরসা রেখে জিতিয়েছে, সেই মানুষগুলোর পাশে থাকা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই পান্ডুয়াতে আমি উপস্থিত হয়েছি।'
জগদ্ধাত্রী পুজো প্রসঙ্গে হুগলীর সাংসদ বলেন, 'আগে জগদ্ধাত্রী পুজো চন্দননগর বা আশেপাশে এলাকার মধ্যে সীমিত ছিল। কিন্তু এখন রাজ্যের সর্বত্রই জগদ্ধাত্রী পুজো ছড়িয়ে পড়েছে। এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। কলকাতাতেও প্রচুর পুজো হচ্ছে।আগে কোনদিনও চন্দননগরে আসা হয়নি। তবে এবার একটু বেশি আসা হবে। যেহেতু আমি সাংসদ।'
প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্র থেকে ভোট যুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর বিপরীতে, টলিপাড়ার তারই দীর্ঘদিনের সহকর্মী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বলাইবাহুল্য তাই কথাও উঠেছিল অনেক। কে জিতবে, কী প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে ভোটের আগে প্রচারে নেমে একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিলেন রচনা। তার মধ্যে অবশ্যই ধোঁয়া দেখে, শিল্পায়নের প্রসঙ্গ। ঘুঘনি খাওয়া-সহ একাধিক প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন, সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল আর জি কর-কাণ্ডের শুনানি
নির্বাচনের আগে সেবার বলাগড়ের একতারপুরের গাজিপাড়া আদিবাসী বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেময় তৃণমূল প্রার্থী রচনার জন্য শাক,ভাত,শুক্তো,ডাল,পটল ভাজা,আলু পোস্ত,আলু পটলের তরকারি,দই এর ব্যবস্থা হয়েছিল।মাটির থালায় কলাপাতা দিয়ে সাজিয়ে খেতে দেওয়া হয় তাঁকে।মাটির বারান্দায় বসে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন রচনা। যদিও এই কেন্দ্রে শেষ হাসি হাসেন রচনাই।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।