'বিদ্যাসাগরের কর্মসূচি আমরা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছি', নির্বাচনী প্রচারে মন্তব্য মমতার
এ দিন তিনি বলেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করি। ওরা এখানে বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভেঙেছিল।'
কলকাতা: হাতে আর মাত্র বাকি ৪ দিন। ভবানীপুরে উপনির্বাচনের আগে আজই শেষ রবিবার। কাজেই সকাল থেকে রবিবাসরীয় প্রচারে কোমর বেঁধেছে সব দল। রবিবার বিকেলে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে নির্বাচনী জনসভায় বিজেপির মূর্তি ভাঙচুর প্রসঙ্গে তীব্র নিন্দা করেছেন ভবানীপুরের উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তিনি বলেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করি। ওরা এখানে বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভেঙেছিল।'
এদিন তিনি আরও বলেন, 'আমার শাড়িটাও মিলে গেছে। অ-আ লেখা, বর্ণ পরিচয়। আজ বিদ্যাসাগরের ২০০ তম জন্মদিন। বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ চালু করতে কতকিছু করেছেন, মেয়েদের পড়াশোনা চালু করেছেন। আমরা কিন্তু সব কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।'
২০১৯-এর ১৪ মে এই অমিত শাহ-র রোড শোকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলেজ স্ট্রিট চত্বর। বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভাঙার ঘটনা কার্যত তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে, আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে সরগরম হয়েছিল রাজনৈতিক মহল। আর আজ প্রায় দু-বছর পর নির্বাচনী প্রচারে সেই প্রসঙ্গে টেনে আক্রমণ শানিয়েছন ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্ণের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। কিন্তু তাঁর ২০১তম জন্মবার্ষিকীতে কার্যত চরমে পৌঁছল রাজনীতির বাগযুদ্ধ! সেই প্রসঙ্গে টেনে এনে পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধীরাও। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গের পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিন তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী জানে না আজ ২০১ তম জন্মদিন, এটাই বাংলার দুর্ভাগ্য। অভিষেক বলেছিল বর্ণপরিচয়ের স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ। ভাই অভিষেক পারলে কাল কারেকশন করে নিও।'
প্রসঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বোঝাই যাচ্ছে কার একাকীত্ব রয়েছে। মমতার স্টেটমেন্ট শুনে বোঝা যাচ্ছে বিদ্যাসাগরের কথা? আমরাই বাংলার সংস্কৃতি দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছি।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কথায়, যারা বিদ্যাসাগরের স্মৃতিকে ম্লান করতে চায়, তারা যখন বিদ্যাসাগর স্তুতি করে তখন বুঝতে হবে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ আছে। সেটা মোটেই ভালো নয়। বিদ্যাসাগরকে নিয়ে কোনো রাজনীতি করাটা অনুচিত। সে কাজে কারো অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। তা যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করে থাকেন ঠিক করেননি।
অধীর চৌধুরী বলেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অতীত নিয়ে সমালোচনা করার কোন অধিকার এই দুপয়সীয়া সাম্প্রদায়িক নেতাদের নেই, একদম দুপয়সীয়া সাম্প্রদায়িক নেতার নাম অমিত শাহ, বাংলার মানুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে তাদের শিক্ষার ঈশ্বর মনে করে অতিম শাহ যদি বাংলার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে অপমান কোর্টে চান বাংলার মানুষ আপনাকে ক্ষমা করবে না।
বিরোধীদের জবাব দিয়েছে বিজেপিও। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা ভাঙায় নয়, গড়ায় বিশ্বাস করি। আজকের দিনটা আমাদের কাছে গুরুত্ব আলাদা আছে।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: "আপনি ভোট দেবেন, মমতা ৫ বছর মাথা নিচু করে কাজ করে যাবেন", প্রচারে দাবি অভিষেকের