জরিমানায় স্থগিতাদেশ, আদালতে আপাতত স্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য
পাশাপাশি যাঁরা চাকরি পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা: আদালতে আপাতত স্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে ১৯ জন মামলাকারীকে প্রাপ্য নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাঁরা চাকরি পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল থাকার ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গত ৩ সেপ্টেম্বর ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। যাঁরা ওই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নম্বর দেওয়া হয়নি। সেই কারণে হেনস্থার শিকার হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই কারণে মানিক ভট্টাচার্যের জরিমানা করা হচ্ছে। জরিমানা দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যের নিজস্ব রোজগারের টাকায়। ১৯ জন মামলাকারীর প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে তাঁকে।’
ভুল হয়েছিল ২০১৪ টেটের প্রশ্ন মালায়। ভুল করেছিল প্রথমিক বোর্ড। কলকাতা হাইকোর্ট সেই ভুল ধরিয়েও দিয়েছিল৷ কিন্তু তারপরেও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সেই ভুল শোধরায়নি বলে অভিযোগ ওঠে। তাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে ফের নালিশ করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গুরুত্বপূর্ণ সেই প্রাথমিক টেট প্রশ্ন ভুল মামলায় আজ জরিমানার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
২০১৪ সালে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্নে ভুল ছিল। যেসব পরীক্ষার্থীরা ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছেন, তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই নম্বর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে হেনস্থার শিকার হতে হয় অনেক চাকরিপ্রার্থীকে।
এরপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে ফের মামলা দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলায় এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ১৯ জন মামলাকারীর প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। আর এই টাকা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নিজস্ব রোজগারের টাকায়। ফলে বলা হয় পর্ষদ সভাপতিকে মোট ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।