'অনশন চলবেই, কেউ অসুস্থ হলে দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের,' আরজি করে অব্যাহত আন্দোলন
এদিন অধিকাংশ জুনিয়র চিকিত্সকই কাজে যোগ দিয়েছেন। জরুরি বিভাগ, স্ত্রী রোগ, চেস্ট, ট্রমা কেয়ার ও বহির্বিভাগে যান হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তারা।
!['অনশন চলবেই, কেউ অসুস্থ হলে দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের,' আরজি করে অব্যাহত আন্দোলন Rg kar protest hunger strike will continue, if anyone is sick, the responsibility will fall on the hospital authorities,](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/10/02/1380a75cfc116af8f30874ac50c13d23_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে অনড় আরজি করের মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিত্সা পরিষেবা স্বাভাবিক। এদিন অধিকাংশ জুনিয়র চিকিত্সকই কাজে যোগ দিয়েছেন। জরুরি বিভাগ, স্ত্রী রোগ, চেস্ট, ট্রমা কেয়ার ও বহির্বিভাগে যান হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তারা। এরপর অনশন মঞ্চে গিয়ে আন্দোলনকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। একজন ছাড়া বাকিরা সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি থেকে সরছেন না। এর জন্য কেউ অসুস্থ হলে তার দায় বর্তাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর।
নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে অনড় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। অন্যদিকে হাসপাতালে আসা রোগীদের ভোগান্তি অব্যাহত। একাধিক রোগীর আত্মীয়ের দাবি, চিকিত্সকের অভাবের কারণে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে রোগীকে।
গতকালঅ আরজি কর হাসপাতালের অচলাবস্থা আরও তীব্র আকার নেয়। এতদিন রিলে অনশন চললেও অধ্যক্ষের ইস্তফার দাবিতে, কাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন পড়ুয়ারা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে দিয়েছে, নীতি নির্ধারণ পড়ুয়াদের কাজ নয়। অধিকাংশ বিভাগে পিজিটিরা কাজে যোগ দিয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
বহুদিন ধরেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পড়ুয়া, ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের কর্মবিরতি অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, ২ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। প্রসূতি বিভাগ, ট্রমা কেয়ার ও জরুরি বিভাগে ঘুরে গরহাজির জুনিয়র ডাক্তারদের তালিকা তৈরি করেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ও ডেপুটি সুপার। জানানো হয়, সেই তালিকা স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হবে। গতকাল সকাল ১১টা পর্যন্ত কারা কাজে যোগ দিয়েছেন, হাজিরা খাতায় তা খতিয়ে দেখেন হাসপাতালের আধিকারিকরা। এর পর তাতে সই করে দেন ভারপ্রাপ্ত সুপার।
এই পরিস্থিতিতে অচলাবস্থা কাটাতে আজ স্বাস্থ্য ভবনে জরুরি বৈঠকে ডাকা হয় হাসপাতালের ৩৮টি বিভাগের প্রধানদের। বৈঠকে স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ডিনও ছিলেন। থাকছেন হাসপাতালের অধ্যক্ষও। বিভাগীয় প্রধানদের বলা হয়েছে, হাজিরা ও গরহাজিরার যে রেকর্ড রাখা হচ্ছে, তা যেন ইন্টার্নদের জানিয়ে দেওয়া হয়।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)