Sonam Wangchuk: লাদাখে গ্রেফতার সোনম ওয়াংচুক, বিক্ষোভকারীদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ
Sonam Wangchuk Arrested: কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজ্যের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের উস্কে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে।

নয়া দিল্লি: আন্দোলন-অশান্তি-হিংসা-প্রাণহানি-অগ্নিকাণ্ডের পর এখনও থমথমে লেহ। জারি রয়েছে কারফিউ। বুধবার, লাদাখের রাজধানী লেহ-তে হিংসার ঘটনায়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুকে কাঠগড়ায় তুলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনে গ্রেফতার করা হল সোনম ওয়াংচুককে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজ্যের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের উস্কে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে। যদিও ওয়াংচুককে জেলে নিয়ে যাওয়া হবে নাকি অন্য কোনও জায়গায় নেওয়া হবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
তাঁর ওপর চাপ তৈরি করতে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন বা FCRA লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে, বাতিল করা হয়েছে তাঁর স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ বা SECMOL-এর লাইসেন্স। সূত্রের দাবি, সোনম ওয়াংচুর বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তও শুরু করেছে CBI। কেন্দ্র দাবি করেছে যে, তারা লেহ অ্যাপেক্স বডি এবং কারগিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সঙ্গে বহুবার আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে। তবে, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যক্তি”দের হস্তক্ষেপে আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। কেন্দ্রের যুক্তি, পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা এবং ষষ্ঠ সূচি সংক্রান্ত দাবি ইতিমধ্যেই HPC আলোচনার অংশ ছিল।
বেশ কয়েক মাস ধরেই আন্দোলন চলছে লাদাখে। লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলছেন লাদাখবাসী। এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে, অনশনে বসেছিলেন আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন পরিবেশ কর্মী সোনম ওয়াংচুক। এই পরিস্থিতিতে আন্দোল দমাতে তাঁর বিরুদ্ধেই বুধবারের হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলে, এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দাবি করেছে সোনম ওয়াংচুক 'আরব বসন্তে'র কায়দায় বিক্ষোভে উস্কানি দিয়েছেন।
পূর্ণ রাজ্যের দাবিতে ছাত্র-যুবদের আন্দোলনে বুধবার, উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লাদাখের রাজধানী লেহ। আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে বিজেপির পার্টি অফিসের ওপর। পাল্টা কড়া ভূমিকা নেয় নিরাপত্তা বাহিনীও। চার জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, সোনমের উস্কানিমূলক বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উত্তেজিত জনতা অনশনস্থল থেকে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের পাশাপাশি লেহ-এর সরকারি দফতরে হামলা চালায়। এটা স্পষ্ট যে, সোনমের উস্কানিমূলক মন্তব্যের কারণেই জনতা প্রভাবিত হয়েছেন।























