Madhya Pradesh News: কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, BJP-র মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ আদালতের
Colonel Sofiya Qureshi: বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন মধ্যপ্রদেশের জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিজয় শাহ।

নয়াদিল্লি: OPeration Sindoor-এর মুখ হয়ে উঠেছেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। তাঁকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দিল রাজ্যের হাইকোর্ট। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে হস্তক্ষেপ করে এমন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। (Madhya Pradesh News)
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে Operation Sindoor অভিযান চালায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী, তার মুখ হয়ে ওঠেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। কোথায়, কীভাবে জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তা গোটা দেশের সামনে তুলে ধরেন তিনি। সেই কর্নেল সোফিয়াকে নিয়েই সম্প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন মধ্যপ্রদেশের জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিজয় শাহ। (Colonel Sofiya Qureshi)
ইন্দৌরের রামকুণ্ড গ্রামে আয়োজিত একটি সভায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, "ওরা (পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিরা) আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছেছিল। আমরা ওদেরই বোনকে পাঠিয়ে বদলা নিয়েছি, ওদের ধ্বংস করে দিয়েছি (অ্যায়সি কি ত্যায়সি কর দিয়া)। ওদের বোনকে পাঠিয়েই ওদের ধ্বংস করে দিয়েছি।" (Vijay Shah)
Another day, another evidence of the BJP’s fake nationalism. Calling Col. Sofiya Qureshi, a brave soldier who presented India’s stance with such clarity and conviction, a terrorist’s daughter is nothing but the BJP’s toxic politics rearing its ugly head at a time when unity is… pic.twitter.com/HcX4p2pxxZ
— K C Venugopal (@kcvenugopalmp) May 14, 2025
সেখানেই থামেননি বিজয়। তিনি আরও বলেন, "ওঁদের বোনকে বিমানে চাপিয়েই ঘরে ঢুকে হামলা চালান মোদিজি। জোরে হাততালি হোক। ওরা আমাদের বোনেদের বিধবা করেছিল, জামাকাপড় খুলে হিন্দুদের মেরেছিল। মোদিজি কাপড় খুলতে তো পারবেন না! তাই ওদের সমাজের বোনকেই পাঠিয়েছেন ওদের উলঙ্গ করতে, ওদের শিক্ষা দিতে।"
বিজয়ের ওই মন্তব্য সামনে আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি তাঁর পদত্যাগের দাবি তোলেন। দল থেকে তাঁকে বহিষ্কারের দাবিও তোলা হয়। রাজ্য বিজেপি-র তরফে এই ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও, বিজয়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপের কথা জানানো হয়নি। সেই আবহে বিজয় জানান, তিনি কাউকে আহত করার জন্য ওই মন্তব্য করেননি। প্রয়োজনে ১০ বার ক্ষমা চাইতেও রাজি। আর তার পরই বিজয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দিল আদালত।
বিজয় যখন প্রকাশ্য সভায় ওই মন্তব্য করেন, সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুর, রাজ্যের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ঊষা ঠাকুর। কিন্তু কাউকেই প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায়নি। যদিও জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়ের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। কংগ্রেসের তরফেও তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।























