Mahua Moitra Marriage: বিয়ে করলেন মহুয়া মৈত্র, একা থেকে দোকা হলেন আরও এক রাজনীতিক, চিনে নিন পাত্রকে
Mahua Moitra Wedding: জার্মানিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে তাঁদের। তবে সেকথা এতদিন ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি।

কলকাতা: বিয়ে করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বিজু জনতা দলের নেতা পিনাকি মিশ্রের সঙ্গে চার হাত এক হল তাঁর। ৩ মে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মহুয়া ও পিনাকি। জার্মানিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে তাঁদের। তবে সেকথা এতদিন ঘুণাক্ষরেও টের পাওয়া যায়নি। এমনকি দলের অনেকেই জানতেন না বলে খবর। মহুয়ার বিয়ের খবর সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীর সঙ্গে কেক কাটার ছবি দিয়ে সকলকে শুভেচ্ছাবার্তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহুয়া। (Mahua Moitra Marriage)
সংসদে জ্বালাময়ী ভাষণের জন্য়ই পরিচিত কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া। আবার তাঁকে নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই। রাজনৈতিক জীবন তো বটেই, মহুয়ার ব্যক্তিগত জীবনও বরাবর চর্চিত থেকেছে। এহেন মহুয়া কাকে বিয়ে করেছেন, সেই নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তবে পিনাকি রাজনীতির দুনিয়ারই মানুষ। পুরীর চার বারের সাংসদ তিনি। গতবছর তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। পুরীতে জয়ী হন বিজেপি-র সম্বিত পাত্র। (Mahua Moitra Wedding)
মহুয়া ও পিনাকি এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি এখনও পর্যন্ত। তবে মহুয়ার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে, ডেনমার্কের ফাইন্যান্সার লার্স ব্ররসনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু সেই বিয়ে বেশি দিন টেকেনি। পিনাকিও আগে বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রী সঙ্গীতার সঙ্গে এক ছেলে ও এক মেয়ে হয় তাঁর। এক সময় আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের সঙ্গে মহুয়ার সম্পর্ক নিয়েও জোর চর্চা ছিল লুটিয়েন্স দিল্লিতে। পোষ্যের উপর অধিকার নিয়ে আইনি টানাপোড়েনও হয় তাঁদের মধ্যে। তবে পিনাকির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা টের পাননি কেউ।
Thank you everyone for the love and good wishes!! So grateful pic.twitter.com/hbkPdE2X7z
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) June 5, 2025 ]
আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করে JPMorgan Chase-এ ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসেবে একসময় কাজ করেছেন মহুয়া। সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। প্রথমে কংগ্রেসে যোগ দেন মহুয়া। রাহুল গাঁধীর বিশ্বস্তও ছিলেন। ২০১০ সালে তৃণমূলে যোগ দেন মহুয়া। অন্য দিকে, পিনাকি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীও। ১৯৯৬ সালে প্রথম বার তিনি কংগ্রেসের টিকিটে পুরী থেকে জয়ী হয়েছিলেন। পরে নবীন পট্টনায়েকের BJD-তে যোগ দেন. ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পর পর তিন বার সাংসদ নির্বাচিত হন এর পর।
সরকারি রেকর্ড বলছে, মহুয়ার বয়স ৫০, পিনাকির ৬৫। সম্প্রতি বিয়ের আসনে বসা, বিজেপি নেতা দিলীপের বয়সও ৬০ পেরিয়েছে। বয়সে বিয়ে কেন জানতে চাইলে, সেই সময় দিলীপ জানিয়েছিলেন, রাজনীতিকদের অনেক সময়ই বিয়ে করতে দেরি হয়ে যায়। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করলে এতদিন তা এড়িয়েই চলতেন মহুয়া। তবে এবার তিনিও নতুন জীবনে পা রাখলেন। নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগীরা।























