Delhi News: ত্যাগ করেছে নিজের মা-বাবা, ধর্ষকের মায়ের হাত ধরেই আদালতে কিশোরী, গর্ভপাতের আবেদন, তার পর যা ঘটল…
Delhi High Court: দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী।

নয়াদিল্লি: তুতো দাদার লালসার শিকার কিশোরী। দুঃসময়ে পাশে নেই মা-বাবাও। এমন পরিস্থিতিতে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ালেন অভিযুক্ত যুবকের মা। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। ২৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি গর্ভপাত করাতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় সে। কিন্তু ঝুঁকির কথা জেনে সন্তানপ্রসবে রাজি হয়েছে মেয়েটি। তার সন্তান অন্যকে দত্তক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। (Delhi News)
দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। বয়সের নিরিখে এখনও প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি সে। বয়স মাত্র ১৪ বছর। কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতিতে মা-বাবাকেও পাশে পায়নি মেয়েটি। বরং অভিভাবক হিসেবে আদালতে যে মহিলার নাম উল্লেখ করেছে সে, তিনি অভিযুক্ত যুবকের মা, সম্পর্কে মেয়েটির আত্মীয়াও। গত ১৪ অগাস্ট আদালতে গর্ভপাতের আবেদন জমা দেয় নির্যাতিতা। (Delhi High Court)
বিষয়টি নিয়ে সোমবার শুনানি হয় দিল্লি হাইকোর্টে। সেখানে জানা যায়, মেয়েটির মা-বাবা তাকে পরিত্যাগ করেছে। এই মুহূর্তে তার অভিভাবক যিনি, তিনি অভিযুক্ত যুবকের মা। ওই মহিলার সঙ্গেই থাকতে চায় মেয়েটি। এমতাবস্থায় শিশুকল্যাণ কমিটির মতামত জানতে চায় আদালত। জুভেনাইল জাস্টিস (কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন আইন ২০১৫)-এর আওতায় মেয়েটির যত্ন নিতে এবং তাকে নিরাপত্তা দিতে কী করা যায়, তা নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়।
দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এ ডাক্তারি পরীক্ষা হয় মেয়েটির। সেখানে দেখা যায়, মেয়েটির গর্ভাবস্থা ২৯ সপ্তাহের সময়সীমা পেরোতে চলেছে। এই মুহূর্তে ভ্রূণটির এ অবস্থান, তাতে অস্ত্রোপচার করিয়েই বের করে আনতে হবে। মেয়েটির গর্ভাবস্থাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসকরা। ভবিষ্যতে মেয়েটির মা হওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে বলে জানান। ফলে এমন অবস্থায় গর্ভপাত সম্ভব নয় বলে আদালতে জানান তাঁরা। AIIMS-এর চিকিৎসকরা বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মাকে জানান, নির্যাতিতার কাউন্সেলিংও হয়। তাতে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখায় সম্মতি জানিয়েছে মেয়েটি। সম্মতি রয়েছে তাঁর অভিভাবকেরও, যিনি কি না অভিযুক্তের মা। চিকিৎসকরা জানান, সঠিক সময়ে সন্তান প্রসব করলে শিশুটিও বেঁচে থাকবে, মেয়েটিরও বিপদ হবে না।
এই গোটা পরিস্থিতিকে ‘অদ্ভুত’ বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি শর্মা। তিনি জানান, মেয়েটির সম্মতি রয়েছে যেখানে, সেখানে তার উপর জোর খাটানো যায় না। তবে মেয়েটির বয়ান রেকর্ড করার নির্দেশ দেন তিনি। এব্যাপারে শিশু কল্যাণ বিভাগের বিভাগের রিপোর্ট পেলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। তবে শিশুর জন্মের পর, তার চিকিৎসা এবং অন্যান্য দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। এর পর দত্তক দেওয়া হবে শিশুটিকে। ২০ অগাস্ট এ নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেওয়া হতে পারে।
জানা গিয়েছে, অগাস্টের শুরুতেই নিজের গর্ভাবস্থা জানতে পারে মেয়েটি। ততদিনে গর্ভাবস্থা ২৭ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হয় সে। কিন্তু ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাতের অনুমতি মেলে।






















