Myanmar Bangladesh Border Tension: মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে ২৭১ কিমি এলাকা দখলের দাবি আরাকান আর্মির
Border Tension: এবার বাংলাদেশ সীমান্তে মায়ানমার সেনার আউটপোস্ট দখলের দাবি।
মঙ্গডাও : একদিকে নৈরাজ্যের আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমাগত অত্যাচার চলছে। কার্যত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন হিন্দুরা। স্বাভাবিকভাবেই সীমানায় চাপ বাড়ছে। অনুপ্রবেশের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই আবহে এবার মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তেও চরম উত্তেজনা। মঙ্গডাও এলাকায় মায়ানমার সেনার আউটপোস্ট দখলের দাবি করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে ২৭১ কিমি এলাকা দখলের দাবি করা হয়েছে। আগেই মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের একাংশ দখল করেছে আরকান সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এবার বাংলাদেশ সীমান্তে মায়ানমার সেনার আউটপোস্ট দখলের দাবি।
আরাকান আর্মি কারা ?
মায়ানমারের রাখিন সম্প্রদায়ের সামরিক বিভাগ হচ্ছে আরাকান আর্মি বা AA। ২০০৯ সালে যার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রাক্তন ছাত্র-সমাজকর্মী তোয়ান ব়্যাট নেইঙ্গ। জেড খনিতে কর্মরতদের থেকে প্রথম দফায় যোদ্ধা নিয়োগ করে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই সেনা উত্তর মায়ানমারের কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির কাছে আশ্রয় চায়। ২০১৯ সালে স্বাধীনতা দিবসের দিন রাখিন প্রদেশের চারটি থানায় হামলা চালায় এএ। এরপরই জঙ্গিদের নিকেশ করতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন আং স্যান সু কি। যদিও পরে উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
রাখিন প্রদেশ কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
মায়ানমার জুড়ে চলতে থাকা গৃহযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই রাখিন। যেখানে গণতন্ত্রপন্থী গেরিলা ও সংখ্যালঘু উপজাতির সশ্ত্র বাহিনী স্বশাসনের দাবিতে দেশের সামরিক শাসকের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। আং স্যান সু কি-র নির্বাচিত সরকারে ক্ষমতাচ্যুত করে ২০২১ সালে ক্ষমতা দখল করে এই সামিরক শাসক। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত রাখিনের ১৭টি শহরের মধ্যে ১১টিতে নিয়ন্ত্রণ লাভ করে আরাকান আর্মি। এর একটি রয়েছে প্রতিবেশী চিন-সীমান্তবর্তী এলাকায়।
এদিকে চরম নৈরাজ্য চলছে বাংলাদেশেও। সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। বিশেষ করে হিন্দুদের বেছে বেছে মারধর করা হচ্ছে। তাঁদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মন্দিরেও চলছে ভাঙচুর। কার্যত ভয়ে ভয়ে দিন কাটছে সেখানকার হিন্দুদের। এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে অনেক সংখ্যালঘু হিন্দুই ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে ভারতীয় সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে বিএসএফ। দিনকয়েক আগে খবর মেলে, ভারতীয় সীমান্তে গোপনে নজরদারি চালাচ্ছে বাংলাদেশ। সীমান্তে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বিডিআর-এর তরফে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে