Nandana on Amartya Sen: 'গতরাতেও বাবার আলিঙ্গন ততটাই শক্ত ছিল, যেমনটা বরাবর থাকে', অর্মত্য সেনকে নিয়ে গুজব ওড়ালেন মেয়ে
Claudia Goldin : ঘটনার সূত্রপাত সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্ট ঘিরে
কলকাতা : "গতরাতেও যখন বাবাকে শুভরাত্রি জানিয়েছিলাম, তখনও বাবার আলিঙ্গন ততটাই শক্ত ছিল, যেমনটা বরাবর থাকে।" বাবা অর্মত্য সেনকে (Amartya Sen) নিয়ে ছড়িয়ে পড়া খবর নিয়ে 'x' হ্যান্ডেলে লিখলেন কন্যা নন্দনা সেন (Nandana Sen)।
ঘটনার সূত্রপাত সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্ট ঘিরে। আমেরিকার অধ্যাপক ক্লডিয়া গোল্ডিন তাঁর 'x' হ্যান্ডেলে (ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট কি না নিশ্চিত নয়) লেখেন, "ভয়ঙ্কর খবর। আমার প্রিয় অধ্যাপক অর্মত্য সেন কিছুক্ষণ আগেই প্রয়াত হয়েছেন। আমি স্তব্ধ।"
তাঁর এই ট্যুইট (বর্তমানে 'X') ঘিরে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক সংবাদ মাধ্যমে সেখবর প্রকাশিত হয়। যদিও, তাঁর বাবা অর্মত্য সেন সুস্থ আছেন বলেই সোশাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিলেন কন্যা নন্দনা।
Friends, thanks for your concern but it’s fake news: Baba is totally fine. We just spent a wonderful week together w/ family in Cambridge—his hug as strong as always last night when we said bye! He is teaching 2 courses a week at Harvard, working on his gender book—busy as ever! pic.twitter.com/Fd84KVj1AT
— Nandana Sen (@nandanadevsen) October 10, 2023
ট্যুইটারে তিনি লেখেন, 'বন্ধুরা, আপনারা এভাবে চিন্তা করায় আপনাদের ধন্যবাদ। কিন্তু, এটা একদম ভুয়ো খবর। বাবা, একদম সুস্থ আছেন। আমরা এই সবে খুব ভাল একটা সপ্তাহ কাটালাম। কেমব্রিজে আমরা সপরিবারে রয়েছি। গতরাতেও যখন বাবাকে শুভরাত্রি জানিয়েছিলাম, তখনও বাবার আলিঙ্গন ততটাই শক্ত ছিল, যেমনটা বরাবর থাকে। হাভার্ডে সপ্তাহে ২টো করে কোর্স পড়াচ্ছেন উনি। নিজের বই নিয়েও কাজ করছেন..বরাবরের মতোই ব্যস্ত বাবা।'
পরে আমাদের বীরভূমের প্রতিনিধিকেও নন্দনা জানান, "এটা সম্পূর্ণ ভুল খবর। কোনও সত্যতা নেই। কেমব্রিজে আমাদের পারিবারিক বাড়িতে সবে বাবার সঙ্গে এক সপ্তাহ সময় কাটিয়েছি । উনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।"
অর্থনীতি, সামাজিক দর্শন ও জনকল্যাণমূলক অর্থনীতিতে বিশাল অবদানের জন্য দুনিয়াজোড়া খ্যাতি অমর্ত্য সেনের। বিশ্বের সমস্ত নামীদামি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়েছে তাঁর নাম। ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান ভারত মাতার এই মহান সন্তান। জনকল্যাণমূলক অর্থনীতি এবং দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র ও মানবোন্নয়ন নিয়ে অবদানের জন্য। এরকম একজন মহান ব্যক্তিত্বকে নিয়ে খবর স্বাভাবিকভাবেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।