এক্সপ্লোর
Advertisement
ধর্ষণের জেরে হরিয়ানার গ্রামে স্কুলে যাওয়া বন্ধ ৩৮ পড়ুয়ার
রেওয়ারি (হরিয়ানা): হরিয়ানার রেওয়ারির সুমা খেরা গ্রামে একটিই স্কুল, তাও প্রাইমারি। বাধ্য হয়েই পাশের গ্রাম লালা-র সরকারি স্কুলে মেয়েদের পড়তে পাঠাতেন বাবা-মায়েরা। কিন্তু গত মাসে এক ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনার পর আতঙ্কে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে অন্তত ৩৮টি মেয়ে। তাদের বাবা-মায়েরা নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে তাদের পাশের গ্রামের ওই স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। নিজেদের গ্রামের প্রাইমারি বিদ্যালয়কে উঁচু ক্লাসে উন্নীত করার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েদের বাইরে পাঠানো হবে না, জানিয়ে অনির্দিষ্টকালের ধরনায় বসেছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে রেওয়ারির ডেপুটি কমিশনার যশ গর্গ জানিয়েছেন, ১৮ এপ্রিল ধর্ষণ করা হয় একটি ছাত্রীকে। তারপর সুমা খেরার যে মেয়েরা পাশের গ্রামের স্কুলে নবম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে, তাদের নাম কাটিয়ে দেন অভিভাবকরা। সুমা খেরার পঞ্চায়েতের দাবি, তাদের গ্রামের প্রাইমারি স্কুলটিতে সিনিয়র সেকেন্ডারি স্তরে পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবিতে তারা অনির্দিষ্টকালের ধরনায় বসেছে। গর্গ বলেছেন, জেলা প্রশাসন অবশ্য লালা গ্রামে মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে। এও জানিয়েছেন, সুমা খেরা গ্রামেও শিক্ষকদের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে মেয়েরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার জানিয়েছেন, তিনি আশাবাদী যে, দুটি গ্রামের লোকজন সমঝোতায় পৌঁছবেন। সুমা খেরার স্কুলটিকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। তবে গ্রামবাসীরা তা মানতে নারাজ। গর্গ বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী ও আরও দুই মন্ত্রী গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাঁদের দাবি নিয়ে কথা বলবেন।
এদিকে সুমা খেরার পাশাপাশি কোটাপুরী গ্রামের বাসিন্দারাও ঘরের মেয়েদের লালা গ্রামে পড়তে পাঠাচ্ছে না।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement