এক্সপ্লোর
Advertisement
ভারতের সম্ভাব্য প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হচ্ছে, ১৮ স্বেচ্ছাসেবী বাছাই পটনা এইমসের
এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫৫ টি ভ্যাকসিন পরীক্ষানিরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এরমধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ২২ টি ভ্যাকসিন।
নয়াদিল্লি: চিনের উহান প্রদেশ থেকে মাস ছয়েক আগে ছড়িয়ে পড়েছিল নোভেল করোনাভাইরাস। সারা বিশ্বে প্রায় এক কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৫,৭১,৬৬০ আক্রান্তের। এই পরিস্থিতি সারা বিশ্বজুড়েই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫৫ টি ভ্যাকসিন পরীক্ষানিরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এরমধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ২২ টি ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিন তৈরির এই প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে সামনের সারিতে রয়েছে মডার্না, ক্যানসিনো, ইনোভিও, বায়োনটেক, পিফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনিকা। আর এ দেশে পটনা এইমস ভারতের প্রথম সম্ভাব্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ‘কোভাক্সিনে’র মানব শরীরে ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ভারতের সম্ভাব্য কোভিড ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাক্সিন’ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভায়রোলজি (এঅনআইভি)-র সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করবে ভারত বায়োটেক।
এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরি করতে সার্সকোভ২-র স্ট্রেন পুনের এনআইভি-তে বিচ্ছিন্ন করে ভারত বায়োটেককে হস্তান্তর করে। এটি ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন, যাতে মৃত সার্সকোভ২-র পার্টিকলস ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে প্রোঅ্যাক্টিভ অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ভারত বায়োটেক জানিয়েছেন, এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রতিরোধক তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।
মানব দেহে এর পরীক্ষা চালাতে আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ) এইমস পাটনা ও দিল্লি সহ দেশের ১২ টি মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটকে বেছে নিয়েছে।
পটনার মেডিক্যাল ইন্সস্টিটিউট ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করবে। তাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫-র মধ্যে। ট্রায়ালে অংশ গ্রহণের জন্য অনেকেই যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ১৮ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
বাছাই করা ১৮ স্বেচ্ছাসেবীর পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল চেকআপ হবে। রিপোর্ট সঠিকভাবে বিশ্লেষণের পর ছাড়পত্র দেওয়ার পরই ট্রায়াল শুরু হবে। আইসিএমআর-এর ছাড়পত্র অনুযায়ী, স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে যাঁদের রিপোর্ট ঠিকঠাক থাকবে,একমাত্র তাঁদেরই কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে।
প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের প্রথম ডোজ প্রয়োগের পর দুই-তিন ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ট্রায়াল সম্পূর্ণ করতে তিনটি ডোজ দেওয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবীদের সুরক্ষা ও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে প্রতিটি ডোজের পর দুই থেকে তিন ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement