কেন্দ্র সেনাকে মুক্ত হস্ত দিতেই প্রত্যাঘাত ভারতের, ধ্বংস ২ পাক সেনা ছাউনি, নিহত ৭ পাক জওয়ান
জম্মু ও নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরে পুঞ্চে পাকিস্তানের হামলার প্রত্যাঘাত ভারতের। পাকিস্তানের যে ২ সেনা ছাউনি থেকে সোমবার সকালে রকেট ও মর্টার বর্ষণ করা হয়েছিল, রাতে সেই দুই ছাউনি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা।
সেনা সূত্রে প্রাপ্ত খবর, সোমবার রাত ৯টা নাগাদ ভারতের তরফ থেকে ভারী অস্ত্র ও মর্টার দিয়ে পাল্টা হামলা চালানো হয়। লক্ষ্য ছিল, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাকিস্তানের ছাউনি।
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে, এই ছাউনি থেকেই ভারতীয় পোস্ট লক্ষ্য করে মর্টার ও রকেট দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। একইসঙ্গে, ও মাইন-সুইপার দলের ওপরও হামলা চালানো হয় এই পোস্টগুলি থেকেই।
ভারতীয় সেনার এক কর্তা জানান, সকালে ওই মর্টার হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল, পাকিস্তানের বিশেষ বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট)-কে কভারিং ফায়ার দেওয়া। যাতে শেলিং-এর ফাঁকে ব্যাট টিম অনায়াসে ভারতীয় দিকে চলে আসে।
উল্লেখ্য, সেই উদ্দেশ্যে তারা সফলও হয়। কারণ, এদিন ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রায় ২৫০ মিটার ঢুকে ২ জওয়ানের মুণ্ডচ্ছেদ করে পালায় তারা। এদিনের পাক হামলায় নিহত হন বিএসএফের ২০০তম ব্যাটেলিয়নের হেড কনস্টেবল প্রেম সাগর ও সেনার ২২ শিখ রেজিমেন্টের নায়েব সুবেদার পরমজিত সিংহ।
এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করে ভারত জানিয়ে দেয়, তারা প্রত্যাঘাত করবেই। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রত্যাঘাতে ৬-৭ পাক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ভারতীয় সেনার গোলাবর্ষণের খবর স্বীকার করলেও জওয়ানের মৃত্যুর খবরের সত্যতা তারা স্বীকার করেনি।
সেনা সূত্রের খবর, এদিন জম্মুর কৃষ্ণঘাঁটি ও মেন্ধরের উল্টোদিকে (পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে) কিরপন ও পিম্পল পোস্ট লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। জানা গিয়েছে, পাক সেনার ৬৪৭ মুজাহিদিন ব্যাটালিয়নের ৫-৮ জন জওয়ান ওই পোস্ট ছিল। তারা সকলেই মারা গিয়েছে।যদিও পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেদেশের সামরিক কর্তৃপক্ষ আগেই জানতে পেরেছিল যে ভারত চুপ করে বসে থাকবে না। প্রত্যাঘাত হানবেই। তাই আগেই পাক বাহিনী ওই ছাউনিগুলি পরিত্যক্ত করে চলে যায়।
এদিকে, ভারতের প্রত্যাঘাত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেনাপ্রধানের উপস্থিতিতে। পাক হামলার পরই এদিন বিকেলে জম্মু পৌঁছন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। সূত্রের খবর, সেনার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর, প্রত্যাঘাতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, জম্মু থেকেই দিল্লিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে কথা হয় রাওয়াতের। জানা যায়, কেন্দ্র সেনাকে প্রত্যাঘাতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়। এরপরই পাল্টা-হামলার সিদ্ধান্ত নেন সেনাপ্রধান।