এক্সপ্লোর
Advertisement
‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’: এমএনএস-এর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সেনাবাহিনী
নয়াদিল্লি: কর্ণ জোহরের ছবি ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কে সেনাবাহিনীকে জড়ানোয় মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার উপর ক্ষুব্ধ প্রাক্তন ও বর্তমান সেনা জওয়ানরা। এই হিন্দি ছবির প্রযোজকদের সেনাবাহিনীর তহবিলে পাঁচ কোটি টাকা দান করতে বলার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না জওয়ানরা। তাঁদের দাবি, ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি অরাজনৈতিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ সংস্থা। রাজনীতি বা ধর্মের সঙ্গে সেনাবাহিনীকে জড়ানো উচিত নয়। রাজ ঠাকরের দল রাজনৈতিক স্বার্থেই ছবির প্রযোজকদের নিজেদের কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
এক সেনা আধিকারিক বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর তহবিলে সব দানই স্বেচ্ছামূলক হওয়া উচিত। তোলাবাজি বরদাস্ত করা যায় না। আমরা চাই জুলুমের বদলে মানুষ নিজের ইচ্ছায় সেনা তহবিলে টাকা দিন। সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে টেনে আনায় আমরা হতাশ।’
অপর এক সেনা আধিকারিক বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে টেনে আনা ঠিক নয়।’ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আটা হাসনাইন বলেছেন, ‘আমরা কোনওদিন এমএনএস-এর এই পদক্ষেপকে সমর্থন করব না।’ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল মনমোহন বাহাদুর বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীকে কেন এই তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে? এই টাকা নিলে সেনাবাহিনী কলঙ্কিত টাকার গ্রহীতা হয়ে যাবে।’
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, তহবিলে যে কেউ টাকা দিতে চাইলেই তা গ্রহণ করা হয় না। ভাল করে খোঁজ নিয়ে তবেই অর্থ গ্রহণ করা হয়। গা-জোয়ারি করে টাকা দেওয়ার চেষ্টা হলে অথবা সেনাবাহিনীর পছন্দ নয় এমন কেউ টাকা দিতে চাইলে সেই দান ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবির প্রযোজকদের কাছ থেকে অর্থ না-ও নেওয়া হতে পারে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
Advertisement