এক্সপ্লোর
Advertisement
কাবেরী-বিতর্কে স্তব্ধ পরিবহণ, বিয়ে করতে পায়ে হেঁটে কর্নাটক থেকে তামিলনাড়ুতে কনে
বেঙ্গালুরু: ‘জল’-কে ঘিরে আগুন জ্বলছে রাজ্যে। স্তব্ধ জনজীবন। হিংসার ভয়ে উধাও পরিবহণ। এই পরিস্থিতিতে তামিলনাড়ুতে বিয়ে করতে বেঙ্গালুরু থেকে কর্নাটক সীমান্তে পায়ে হেঁটে পৌঁছলেন কনে।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা বছর পঁচিশের আর প্রেমার বিয়ে ঠিক হয় তামিলনাড়ুর বাণিজ্যমবড়ির বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে। বিয়ে বুধবার।
কিন্তু, এই মুহূর্তে কাবেরী জলবণ্টন নিয়ে উত্তাল কর্নাটক ও তামিলনাড়ু। চারদিকে জ্বলছে আন্দোলন-বিক্ষোভের আগুন। বিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছছে যে, এক রাজ্যের গাড়ি অন্য রাজ্যে যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে বিয়ে কার্যত ভেঙে যেতে বসেছিল প্রেমার। কারণ, বেঙ্গালুরু থেকে তামিলনাড়ুতে যাওয়া অসম্ভব ছিল। কারণ, হিংসার ফলে রাস্তায় কোনও পরিবহণ নেই।
কিন্তু, বিয়ে ভেঙে যাবে, এটা মানতে পারেননি প্রেমা। সিদ্ধান্ত নেন, প্রয়োজন হলে হেঁটেই রাজ্যের সীমাপার করবেন। যেমন ভাবা, তেমন কাজ।
একেবারে গুটিকয়েককে সঙ্গে নিয়ে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে এবং অটোভাড়া করে কর্নাটক সীমান্ত লাগোয়া হোসুরে পৌঁছে যান তিনি।
প্রেমা বলেন, আমাদের বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কোনও সরকারি পরিবহণ পাইনি।
বিয়ের যে আনন্দ তা উধাও হয়ে গিয়েছে এই নববধূর মন থেকে। প্রেমা বলেন, বিয়েতে ৬০০ জন আমন্ত্রিত ছিলেন। মাত্র ২০ জন আসতে পেরেছেন।
তিনি যোগ করেন, বিয়ের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বহন করার জন্য কয়েকজন তাঁর সঙ্গে এই ‘পদযাত্রা’-য় সামিল হয়েছেন।
প্রেমা মনে করেন, এই কষ্টের জন্যই হয়ত সারা জীবন তাঁর মনে এই বিয়ের ঘটনা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
রাজ্যে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এর জন্য তিনি কর্নাটক ও তামিলনাড়ু সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতেও ছাড়েননি প্রেমা।
ক্ষুব্ধ তরুণী বলেন, সকলের এটা মনে রাখা উচিত, আমরা সবাই ভারতীয়। এর ফলে দুরাজ্যের মানুষই এই সমস্যায় পড়ছেন। এটা(আন্দোলনের নামে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করা) কখনই সঠিক রাস্তা হতে পারে না।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
Advertisement