সন্ত্রাসের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাই, একসুর মোদী, এর্দোগানের
নয়াদিল্লি: লাগাতার সন্ত্রাসের হুমকি ভারতের কাছে উদ্বেগের বিষয়। সন্ত্রাসের মদতদাতা ও আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দেওয়ার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সোমবার রাজধানীতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়িপ এর্দোগানের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। সেখানে স্বভাবতই সন্ত্রাস মোকাবিলার বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
বিশেষ করে, এদিনই জম্মু ও কাশ্মীরে পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক সেনার হামলায় ২ জওয়ানের নিহত হওয়া এবং তাদের দেহ বিকৃত হওয়ার ঘটনায় জঙ্গিহামলা ও সীমান্তপার সন্ত্রাসের মোকাবিলা করার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায়।
এদিন বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী জানান, সন্ত্রাসের লাগাতার হুমকি ও আশঙ্কার মধ্যে একইপ্রকার উদ্বেগে রয়েছে ভারত ও তুরস্ক। মোদী বলেন, দুপক্ষই সহমত যে, কোনও অঞ্চলই সন্ত্রাসকে যুক্তিসঙ্গত বলে বিবেচনা করতে পারে না।
এদিন নাম না করে পাকিস্তানকে একহাত নিয়ে মোদী বলেন, যারা সন্ত্রাসবাদীদের মদত বা আশ্রয় দিয়ে চলেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এপ্রসঙ্গে, তুরস্কের সঙ্গে তিনি পূর্ণ সহযোগিতায় যেতে রাজি বলেও জানান মোদী।
অন্যদিকে, এর্দোগান জানান, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধ লড়াইয়ে তাঁর দেশ সর্বদা ভারতের পাশে থাকবে। তিনি যোগ করেন, সন্ত্রাসবাদীরা যে রক্ত ঝরিয়েছে, একদিন তারা সেই রক্তেই ডুবে যাবে।
সন্ত্রাসদমন ছাড়াও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্তরে পারস্পরিক উদ্বেগের বিষয়গুলি নিয়েও কথা হয়েছে। সূত্রের খবর, পরমাণু জ্বালানি সরবরাহ গোষ্ঠী (এনএসজি)-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন জানিয়েছে তুরস্ক।
পাশাপাশি বাণিজ্য সহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়েও দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। মোদী জানান, ২০০৮ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। সেখানে বর্তমানে বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়ে রয়েছে ৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। যদিও, মোদীর মতে, পারস্পরিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক চুক্তির ক্ষেত্রে আরও উন্নতি ঘটাতে পারে দুই দেশ।