এক্সপ্লোর
Advertisement
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
ডেনমার্কের মহিলা পর্যটক গণধর্ষণে ৫ দোষীর আমৃত্যু কারাদণ্ড, জরিমানা
নয়াদিল্লি: ২০১৪ সালে ডেনমার্ক থেকে ভারত ঘুরতে আসা মহিলা পর্যটককে গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত পাঁচজনকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দিল দিল্লির এক আদালত। অর্থাত্ বাকি জীবনটা তাদের কারাগারের অন্ধকারেই কাটাতে হবে।
শুক্রবার সাজা ঘোষণার সময় আদালতকক্ষেই ছিল ৫ দোষী মহেন্দ্র ওরফে গাঞ্জা, মহম্মদ রাজা, রাজু, অর্জুন, রাজু চাক্কা। তাদের সাজা দেওয়া হল ২০১৪-র ১৪ জানুয়ারি দিল্লিতে ওই ৫২ বছর বয়সি ড্যানিশ মহিলাকে অপহরণ করে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায়। তাজমহল ঘুরে মধ্য দিল্লির হোটেলে ফিরছিলেন ওই মহিলা। একাই ছিলেন। পথনির্দেশ পেতে রাস্তার লোকজনের সাহায্য চান। তখনই তাকে রাস্তা দেখানোর ছুতোয় অপহরণ করে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে সর্বস্ব লুঠ করে ছুরি ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে ভবঘুরে অপরাধীরা।
এই মামলায় তিন অন্য অভিযুক্তের বিচার চলছে আলাদাভাবে জুভেনাইল আইনে। নবম অভিযুক্ত, এক প্রাপ্তবয়স্ক মারা যায় বিচার শেষ হওয়ার আগেই।
কারাবাসের পাশাপাশি দোষীদের রাজু ও রাজু চাক্কাকে মাথাপিছু ৮৩ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক রমেশ কুমার। মহেন্দ্র, মহম্মদ রাজার জরিমানা হয়েছে ৯৩ হাজার টাকা করে। ১ লক্ষ টাকার বেশি জরিমানা ঘোষিত হয়েছে অর্জুনের বিরুদ্ধে।
৫ জনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ডি) (ধর্ষণ), ৩৯৫ (ডাকাতি), ৩৬৬ (অপহরণ), ৩৪২ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা), ৫০৬ (ফৌজদারি ভীতিপ্রদর্শন) ও ৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
ধর্ষণ বাদেও আরও নানা অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের নানা মেয়াদের কারাবাসের সাজা দিয়েছে আদালত।
বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি অতুল শ্রীবাস্তব দোষীদের সর্বোচ্চ সাজার পক্ষে সওয়াল করেন। বলেন, অত্যন্ত অমানবিক, বর্বরোচিত কায়দায় অত্যাচার করা হয়েছে ওই মহিলার ওপর। তাই জীবনের বাকিটা ওদের জেলেই থাকা উচিত।
তবে গরিব পরিবার থেকে এসেছে, এই যুক্তি দেখিয়ে অপরাধীদের প্রতি নরম হওয়ার আর্জি জানান তাদের কৌঁসুলি দীনেশ শর্মা। কিন্তু এই যুক্তি মানেনি আদালত। তাদের আজীবন কারাবাসের বদলে ২০ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হোক, এমনই আর্জি পেশ হয়। কিন্তু বিচারক স্পষ্ট বলেন, কোনও নমনীয় সাজা পাওয়ার যোগ্য নয় ওরা। ওই মহিলাকে, বিশেষত তিনি বিদেশী বলে সম্মান করা উচিত ছিল অপরাধীদের। কিন্তু ওদের ‘অমানবিক’, ‘নৃশংস’ আচরণের ফলে দেশের মান-সম্মান ধুলোয় লুটিয়েছে।
বিচারপতি এও বলেন, ওই মহিলা ভেবেছিলেন, তিনি ভারতে নিরাপদ। তিনি রাস্তা হারিয়ে ফেলে সাহায্য চাইলেন। কিন্তু নিজেদের যৌন ক্ষুধা মেটাতে, তাঁর সর্বস্ব ছিনতাই করতে তাঁকে বিভ্রান্ত করে, অপহরণ ও ধর্ষণ করে। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে তাঁর ওপর নারকীয় অত্যাচার চলে। এমনকী তিনি যখন জানান, তাঁর এইডস হয়েছে, তাতেও তারা নিরস্ত হয়নি।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement