অভিযুক্তদের ক্রমাগত হুমকি, আত্মঘাতী গণধর্ষিতা কিশোরী
বাগপট: চার মাস আগে চারজন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি অত্যাচারীদের পাশবিকতা। নির্যাতিতকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ।
যার জেরে, নিজের জীবন শেষ করে দেওয়াটাই ঠিক বলে মনে হয় বছর পনেরোর কিশোরীর। অবশেষে, এদিন আত্মঘাতী হয় নির্যাতিতা। প্রথমে পুলিশ ঘটনাটিকে স্রেফ আত্মহত্যার ঘটনা বলে শুরু করলেও, পরে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নতুন তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।
খবরে প্রকাশ, চার মাস আগে কিশোরীকে অপহরণ করে অভিযুক্তরা। পাঁচদিন পর কিশোরীকে অচৈতন্য অবস্থায় রমলা পুলিশ স্টেশনের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়। জ্ঞান ফিরলে, কিশোরী জানায়, একটি ঘরে বন্ধ করে রেখে তার ওপর লাগাতার পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে ওই পাঁচ জন।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেই সময় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু, অভিযুক্তপক্ষের ক্রমাগত চাপের কাছে নতিস্বীকার করে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নির্যাতিতার পরিবার। ফলে, ছাড়া পেয়ে যায় অভিযুক্তরা।
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, এরপর থেকেই ফের তাদের ক্রমাগত হুমকি দিত অভিযুক্তরা। তারা জানায়, গত শুক্রবার, কিশোরীকে ফের ধর্ষণ করার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। বিষয়টি মাকে জানায় নির্যাতিতা। কিন্তু, পুলিশের কাছে যাওয়ার আগেই নির্যাতিতা আত্মঘাতী হয়।
এই ঘটনা প্রকাশ পেতেই, নড়েচড়ে বসে পুলিশ। পাঁচ অভিযুক্ত—সোনু, মোনু, রোহিত, সাগর ও পাপ্পুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, কর্তব্যে গাফিলতির জন্য রমলা থানার ইন-চার্জ শরদ তিলারাকে সাসপেন্ড করেছেন জেলা পুলিশ সুপার। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করা হয়েছে।