এক্সপ্লোর
এসকর্ট পরিষেবা! ২৪০টি ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশক্রমে এসকর্ট পরিষেবা দেওয়ার অভিযোগে ২৪০টি ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করল সরকার। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ওই ওয়েবসাইটগুলি ব্লক করার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের এক কর্তা। ইন্টারনেট থেকে অশালীন, কুরুচিকর কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এহেন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, ওয়েবসাইটগুলি ব্লক না হলে ২০০৯-এর তথ্য প্রযুক্তি নিয়মাবলীর আওতায় কড়া সাজার মুখে পড়বে সার্ভিস প্রোভাইডাররা। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নির্দেশের ফলে নিষিদ্ধ হতে চলেছে pinkysingh.com, jasmineescorts.com, onlyoneescorts.com, payalmalhotra.in, localescorts.in, pearlpatel.in, kavyajain.in, xmumbai.in, shimi.in and anchu.in,-এমন একাধিক ওয়েবসাইট। যদিও এহেন সরকারি পদক্ষেপ দিশাহীন বলে মন্তব্য করেছে শিল্প মহলের একটি সূত্র। একটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেছেন, সব ওয়েবসাইটের কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু ব্লক করা যায় না। বিষয়টির প্রযুক্তিগত জটিলতার দিকটি ভাল করে খতিয়ে না দেখেই দুম করে নির্দেশ জারি করা হল। নিষিদ্ধ হওয়ার পরও নাম বা লিঙ্ক সামান্য বদলেই নতুন করে কাজ করতে পারে যে কোনও ওয়েবসাইট। আরেকটি সূত্রের বক্তব্য, গোড়া থেকেই হোঁচট খাবে এহেন প্রক্রিয়া। একটি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০টি নতুন ওয়েবসাইট, আলাদা নামে খুলে যাবে। এমনকী শুধু একটা অক্ষর বদলে ফেলে একই নাম রেখে দেওয়া যায়। কয়েক মিনিটের ব্যাপার এটা। তিনি এও বলেন, ওয়েবসাইটে এ ধরনের পরিষেবা পাওয়ার অনেক মোবাইল নম্বর দেওয়া থাকে যেগুলির ওপর নজরদারি চালিয়ে অপরাধীদের ধরা যায়। শিল্প মহল সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, এসকর্ট পরিষেবা দেওয়া ওয়েবসাইটগুলির বেশিরভাগেরই কোনও না কোনওভাবে মুম্বইয়ের যোগসূত্র আছে। ওই কর্মকর্তা এও বলেন, সরকারকে সংবাদপত্রে এসকর্ট পরিষেবার বিজ্ঞাপনও বন্ধ করতে উদ্যোগ নিতে হবে। একটি অত্যন্ত বাস্তব সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের পূর্ণ সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া আমার অনুমান, শুধু ভারতীয় ওয়েসবসাইটগুলিকেই বন্ধ করতে বলা হয়েছে। গত বছরই সরকার প্রাপ্তবয়স্ক, পর্নোগ্রাফির কনটেন্ট আছে, এই কারণে ৮৫৭টি ওয়েবসাইট ব্লক করেছিল। কিন্তু নানা মহলের তীব্র সমালোচনার মুখে সংশ্লিষ্ট নির্দেশ খতিয়ে দেখে শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা তুলেই নেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, ইন্টারনেট সেন্সরশিপ চালু করছে সরকার।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন






















