এক্সপ্লোর
Advertisement
গোয়ায় গিয়েছেন সেক্স করতে? আগে বার করুন আধার কার্ড
পানাজি: শুধু ব্যাঙ্ক আর সেলফোন কোম্পানিই আপনার কাছে আধার কার্ড নম্বর চেয়ে হত্যে দিচ্ছে না। একই অবস্থা গোয়ার দালাল গোষ্ঠীরও। সহজে যৌনতার লোভে যে পর্যটকরা গোয়ায় আসছেন তাঁদের কাছে প্রথমেই তারা আধার কার্ড দেখতে চাইছে।
এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে দিল্লির ৫ যুবকের। বন্ধুর ব্যাচেলর পার্টিকে গোয়ায় আসেন তাঁরা। এক দালালের ফোন নম্বর সঙ্গে ছিল। হোটেল বুক করে ওই নম্বরে ফোন করে তাঁরা ৫ তরুণীর সন্ধান চান। সে ব্যাপারে সুলুকসন্ধান দেওয়ার বদলে দালাল ভদ্রলোক সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ নিতে শুরু করেন যে নম্বর থেকে ফোন এল তা আসল কিনা। সত্যিই নম্বরটি দিল্লির জেনে তিনি ওই যুবকদের ফোন করেন। বলেন হোয়াটসঅ্যাপ করে প্রত্যেকের আধার কার্ডের ছবি পাঠাতে। হোটেলের ট্যাগ লাগানো রুমের চাবিরও ছবি চান।
কিন্তু কেন এই সাবধানতা? দালালরা এক কথায় জানাচ্ছেন, পুলিশ। সমুদ্রের পাশে এই ছোট্ট রাজ্যে দেহ ব্যবসা বন্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে প্রশাসন। তাই দালাল গোষ্ঠী আর কারও মুখের কথায় বিশ্বাস করছে না, আগ্রহী ক্রেতার পরিচয় একাধিকবার খতিয়ে দেখছে। বলা যায় না, খদ্দের ভেবে যার কাছে মেয়ে সরবরাহ করলেন, দেখা গেল সে আসলে পুলিশ!
আধার, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স সব কিছুর ফটোকপি জমা দিলেই যে আপনি চাহিদামত যৌনকর্মী পাবেন এমনটাও নয়। অনেক সময়েই একের বেশি যৌনকর্মী চাইলে সাড়া দিচ্ছে না দালালরা। কারণ ৫-১০ জনও যদি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে, রোজগার তো বন্ধ হয়ে যাবেই, গোটা চক্রের পর্দাফাঁস হবে।
কিন্তু যৌনতার হাতছানিতে গোয়ায় পাড়ি জমান দেশবিদেশের বহু পর্যটক। সহজেই তাঁদের প্রতারিত করছে দালাল গোষ্ঠী। কোনও মেয়ে হয়তো শিকার বুঝে বারান্দা থেকে কারও দিকে হাত নাড়ল। দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৪,০০০ টাকা দিয়েও দিলেন ওই ক্রেতা। তাঁকে বলা হল, যে ঘরের বারান্দায় মেয়েটি ছিল সেখানে গিয়ে কড়া নাড়তে। তিনি গিয়ে দেখলেন, ঘরে কেউ নেই। উল্টে বেরিয়ে এল দালালেরই ফিট করা আশপাশের ফ্ল্যাটের লোকজন। তারা এমন হইচই শুরু করল ভদ্রলোক পালাতে বাধ্য হলেন। মার গেল তাঁর পুরো টাকাটা।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
হুগলি
মালদা
শিক্ষা
জেলার
Advertisement