এক্সপ্লোর
Advertisement
হাওয়ালার টাকা আসায় নিয়ন্ত্রণে অর্থাভাবে পড়েই আলোচনায় বসতে চাইছে, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে এখনই বৈঠকে উল্টো ফল হবে, বলল জম্মু বিজেপি
রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র অনিল গুপ্তা বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জোট জয়েন্ট রেজিস্ট্যান্স লিডারশিপ (জেআরএল)-কে প্রকাশ্যে মানতে হবে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, তার মর্যাদা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। তাদের ভারতের সংবিধানের প্রতিও আনুগত্য প্রকাশ করে একমাত্র তার পরিধির ভিতরে থেকেই আলোচনা চাইতে হবে।
জম্মু: জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির জোট হুরিয়ত কনফারেন্সের সঙ্গে বর্তমানে কোনওরকম আলোচনাই ঠিক হবে না বলে জানাল বিজেপি। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বৈঠকে উল্টো ফল হতে পারে, তা পিছু হটা হবে বলে মনে করছে তারা। হুরিয়ত চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ ওমর ফারুক সম্প্রতি কাশ্মীর সমেত যাবতীয় ইস্যুতে কাশ্মীরী নেতৃত্ব, নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার ডাক দিয়েছেন। শনিবার রাজ্যের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকও দাবি করেন, তিনি গত আগস্টে রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর হুরিয়ত অবস্থান নরম করে এবার আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক।
এই প্রেক্ষাপটে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র অনিল গুপ্তা বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জোট জয়েন্ট রেজিস্ট্যান্স লিডারশিপ (জেআরএল)-কে প্রকাশ্যে মানতে হবে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, তার মর্যাদা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। তাদের ভারতের সংবিধানের প্রতিও আনুগত্য প্রকাশ করে একমাত্র তার পরিধির ভিতরে থেকেই আলোচনা চাইতে হবে। প্রকাশ্যে এসব প্রাক-শর্ত না মানলে হুরিয়ত বা জেআরএলের সঙ্গে যে কোনও আলোচনায়ই উল্টো ফল হবে, তা পিছনের দিকে নিয়ে যাবে। হুরিয়ত নেতাদের কেউই অবস্থান বদলের বিন্দুমাত্র আভাস দেননি, শুধুমাত্র কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার আবেদন মানসিকতা বদলের সূচক নয়। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সংখ্যগরিষ্ঠ কাশ্মীরীদের প্রতিনিধিত্ব করে না বলেও দাবি করেন গুপ্তা। বলেন, হুরিয়ত কাশ্মীরের অধিকাংশ সমস্যার নায়ক। ওদিকে হাওয়ালা মারফত অর্থ সরবরাহে নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয়েছে। ফলে অর্থাভাবে পড়েই আলোচনায় বসতে চাইছে ওরা। হুরিয়ত নেতারা বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত দিয়ে চলেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গুপ্তার অভিমত, ওদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসের সহায়ক নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে চলতি অভিযান বিরাট ধাক্কা খাবে। হুরিয়ত ওই সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের ‘বড় অপরাধী’। ২০১৬-য় এই একই নেতারাই সংবিধানের চৌহদ্দির ভিতরে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করেছিলেন, কেননা তখন তাঁরা পাকিস্তানের মদত, সমর্থন পাচ্ছিলেন।
উল্লেখ্য এ মাসেই মিরওয়াইজ ঈদের ভাষণে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এমন আস্থাবর্ধক পদক্ষেপের দাবি করেছিলেন যাতে দুদেশের আলোচনা জিইয়ে তুলতে সুবিধা হয়।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement