এক্সপ্লোর
Advertisement
কার্গিল শহিদের ক্ষতিপূরণের ভাগ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে স্ত্রী, মা
কেন্দ্রপাড়া (ওড়িষা): কারগিল শহিদের জন্য বরাদ্দ আর্থিক ক্ষতিপূরণের ভাগ নিয়ে আইনি লড়াই মা, স্ত্রীর।
১৯৯৯ এর ২৮ জুন কারগিল যুদ্ধে নিহত ল্যান্স নায়েক সচ্চিদানন্দ মালিকের পরিবারকে ২২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা অনুমোদন করে ভারতীয় সেনাবাহিনী, কেন্দ্র ও ওড়িষা সরকার। সেই অর্থ দেওয়া হয় তাঁর বিধবা স্ত্রী নিবেদিতা মালিককে। তিনি পরে সরকারি চাকরি পান। এমনকী ফ্যামিলি পেনশনও পাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু সংগঠন, ব্যক্তিও স্বজনহারানো পরিবারটিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু কেন পুত্রবধূ একাই গোটা আর্থিক সাহায্যের টাকা পাবেন, সেই প্রশ্ন তুলে নিজের অংশ চেয়ে স্থানীয় আদালতের দ্বারস্থ হন প্রয়াত ল্যান্সনায়েকের ৭৫ বছর বয়সি মা মালতীলতা দেবী। সেটা ২০০০ সালের ঘটনা। ২০০৭ সালে কেন্দ্রপাড়ার সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন) রায় দেন, বিধবা মালতীলতারও ভাগ প্রাপ্য। ১৯৫৬ সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে শহিদের বিধবা স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে ক্ষতিপূরণের এক তৃতীয়াংশ দিতে হবে তাঁকে। দুই তৃতীয়াংশ আইনত প্রাপ্য নিবেদিতা ও তাঁর নাবালক পুত্র সৌম্যরঞ্জনের। কিন্তু শাশুড়িকে ভাগ দিতে নারাজ নিবেদিতা। তিনি আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করেন উচ্চতর আদালতে। সেখান থেকে কোনও রায় আসেনি। ফলে ১৭ বছরের আইনি বিবাদ বহাল রয়েছে। আটকে রয়েছে ক্ষতিপূরণের অর্থ।
তবে কেন্দ্রপাড়ার প্রাক্তন সমরকর্মী সংগঠনের সভাপতি মহেশ্বর কর বলেছেন, সুবিচার অবশ্যই পাওয়া উচিত কারগিল শহিদের মায়ের।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
বাংলাদেশ
জেলার
জেলার
Advertisement