আড়াই লক্ষ কোটি টাকা কর্পোরেট ঋণ অনাদায়ী, কার্যত স্বীকার কেন্দ্রের, ঋণখেলাপীদের তালিকা প্রকাশের দাবি মমতার
কলকাতা ও নয়াদিল্লি: ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৭-র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার নেওয়া ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ঋণ অনাদায়ী। লিখিত জবাবে জানাল কেন্দ্র। সমালোচনায় সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋণখেলাপীদের তালিকা প্রকাশের দাবি করলেন তিনি। হাতিয়ার, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জবাব। দেশের কৃষকদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগে ফের মোদি সরকারকে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, কর্পোরেট হাউসগুলির নেওয়া ২ দশমিক ৪ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের কথা তাদের নথিতে উল্লেখই করেনি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলি, এটা কি সত্যি? কেন্দ্রের কাছে এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছিলেন সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী শিবপ্রতাপ শুক্ল জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ আর্থিক বছর থেকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ঋণ তাদের নথিতে উল্লেখ করেনি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলি। মন্ত্রীর দাবি, এই ঘটনা ব্যাঙ্কগুলির দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই পড়ে। ব্যালেন্স শিট পরিষ্কার রাখতে ব্যাঙ্কগুলি তাদের অনুত্পাদক সম্পত্তিকে হিসেবের বাইরে রাখে। তাই ওই অনাদায়ী ঋণের উল্লেখ করা হয়নি।
https://twitter.com/MamataOfficial/status/981149930461921280 কেন্দ্রের এই জবাবকে হাতিয়ার করেই কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে লিখেছেন, একদিকে, ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আত্মহত্যা করছেন কৃষকরা, বার বার বলা সত্বেও কৃষি ঋণ মকুব করছে না কেন্দ্র। অন্যদিকে, ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৭-র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্পোরেট সংস্থাগুলির প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণকে অনুত্পাদক সম্পত্তি হিসেবে উল্লেখ করছে ব্যাঙ্কগুলি! অবিশ্বাস্য। এটা কি বড় দুর্নীতি নয়? ঋণখেলাপীদের তালিকা প্রকাশ না করে কাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে সরকার? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, দ্রুত ঋণখেলাপীদের তালিকা প্রকাশ করুক কেন্দ্র। প্রকাশ করা হোক, কাদের ঋণকে অনুত্পাদক সম্পত্তি হিসেবে দেখিয়েছে ব্যাঙ্ক।