‘পরিস্থিতির উন্নতি হবে, থাকছে ঝুঁকিও, বেকারত্বের কারণে কমবে ক্রয় ক্ষমতা’, ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে পূর্বাভাস মুডিজের
ভারতের অর্থনীতি নিয়ে একই সঙ্গে আশা ও আশাঙ্কার পূর্বাভাস জানাল আন্তর্জাতিক সংস্থা মুডিজ।
নয়াদিল্লি: ভারতের অর্থনীতি নিয়ে একই সঙ্গে আশা ও আশাঙ্কার পূর্বাভাস জানাল আন্তর্জাতিক সংস্থা মুডিজ। সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য অর্থনীতির পরিমাপক এই সংস্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আগামী দিনে ভারতীয় অর্থনীতির উন্নতি ঘটবে ঠিকই, তবে বেকারত্বের কারণে লক্ষণীয়ভাবে কমবে ক্রয় ক্ষমতা।
গ্লোবাল ম্যাক্রো আউটলুক-এ (২০২০-২১) মুডিজ জানিয়েছে, “ভারত নিয়ে আমরা আমাদের সূচক সংশোধন করে নিচ্ছি। ভারতের জিডিপি ২০১৮ সালের তুলনায় শ্লথ।” ২০১৯ সালে ভারতের গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট রেট ৫.৬। আগের বছর তা ছিল ৭.৪। মুডিজ স্বীকার করে নিয়েছে, ভারত প্রকৃতপক্ষেই অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে রয়েছে। যার ফলে একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্বও। মুডিজ প্রদত্ত পূর্বাভাস অনুযায়ী, “আমাদের মনে হচ্ছে বেসলাইন অর্থনীতি থেকে পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টাবে। আবার ঝুঁকি থাকছে অবনমনেরও। বেকারত্বের কারণে বাজারও চাঙ্গা হবে না। সুদ হ্রাস করলেও তা পর্যাপ্ত হচ্ছে না। ফলে কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগেও বাধা তৈরি করছে।” ২০২০-২১ অর্থবর্ষে জিডিপি ৬.৬ থেকে ৬.৭ পর্যন্ত হতে পারে বলে আশা করছে মুডিজ।
প্রসঙ্গত, অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে চাঙ্গা করার জন্য কর্পোরেট কর-এ ছাড় সহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কর্পোরেট কর-এ ছাড় ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হয়েছে। নির্মাণকারী কোম্পানিগুলোর শুল্কও কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। সরকার সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পথকে আরও প্রশস্থ করার উদ্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তা আশানারূপ হয়নি। একই সঙ্গে সরকার ১০টি ব্যাঙ্ককে সংযুক্ত করে ৪টি-তে নিয়ে আসে। গাড়ি শিল্প চাঙ্গা করতেও ব্যবস্থা নেয় কেন্দ্র। স্টার্টআপ ও পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রেও একাধিক কর ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দেশের অর্থনীতি ক্রমশ শ্লথ থেকে আরও শ্লথই হয়েছে।