দলের ঝামেলা থেকে দূরে থাকো, অখিলেশকে পরামর্শ মুলায়মের
লখনউ: দলের অন্তর্কলহ থেকে ছেলে অখিলেশকে দূরে থাকার পরামর্শ দিলেন মুলায়ম সিংহ যাদব।
এদিন দলীয় সদর দফতরে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ নেতা ফের একবার তুতো ভাই রামগোপালকে আক্রমণ করেন। অভিযোগ করেন, দলে ভাঙন ধরাতে ষড়যন্ত্র করছে রামগোপাল। একইসঙ্গে, আপন ভাই শিবপালের প্রশংসাও করেন।
এদিন নাম না করে রামগোপালকে আক্রমণ করে ছিয়াত্তর বছরের মুলায়ম বলেন, আমি জানি কে অন্য দলের সভাপতির সঙ্গে তিনবার দেখা করেছেন। উনি নিজের ছেলে ও পুত্রবধূকে বাঁচাতে চাইছেন। মুলায়ম যোগ করেন, ওনার উচিত ছিল আমার সঙ্গে দেখা করার। আমি ওদের বাঁচাতাম।
এদিন আবেগপ্রবণ মুলায়ম জানিয়ে দেন, দলে ভাঙন তিনি বরদাস্ত করবেন না। দল অটূট রাখতে তিনি সর্বান্তকরণ চেষ্টা চালাবেন। দলের বিরোধী শিবিরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি ওদের বলেছি ভাঙন ধরিও না। আমি দলে সংহতি চাই।
এদিন মুলায়ম যোগ করেন, আমি জানি কে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে অখিল ভারতীয় সমাজবাদী পার্টি গঠন করতে চাইছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, না তিনি নতুন দল গঠন করবেন, না-ই প্রতীক বদল করবেন।
তাঁকে সরিয়ে ছেলে অখিলেশের দলের সভাপতি হওয়ার বিষয়ে এদিন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই প্রবীণ নেতা। বলেন, আমার কাছে যা ছিল, সবই উজাড় করে দিয়েছি। আমার কাছে এখন কী-ই বা রয়েছে। স্রেফ আপনারাই। মুলায়ম মনে করিয়ে দেন, অখিলেশ বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী আছেন এবং ভবিষ্যত মুখ্যমন্ত্রীও তিনি-ই। ছেলের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, কেন তুমি ওদের (রামগোপাল) দিকে ঝুঁকছো? নিজেকে ঝামেলায় জড়িও না। আমরা দলে যে কোনও মূল্যে একতা চাই।
এদিন ভাই শিবপালেরও প্রশংসা করেন মুলায়ম। বলেন, ও দলের জন্য প্রচুর ঘাম ঝরিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই, উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সভাপতির পদ থেকে শবিপালের বহিষ্কার চাইছে অখিলেশ শিবির। একইসঙ্গে, অমর সিংহকে সরানোর দাবি জানিয়ে আসছে তারা। কিন্তু, এই দুই দাবিই খারিজ করে দিয়েছেন মুলায়ম। একইসঙ্গে, অখিলেশ-ঘনিষ্ঠ রামগোপালকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করেন তিনি।
এরপরই দলের জরুরি জাতীয় সম্মেলন ডেকে মুলায়মকে জাতীয় সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন অখিলেশ। রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শিবপালকেও।