এক্সপ্লোর
Advertisement
মারা গেল ২৬/১১-র হামলায় বহু জীবন বাঁচানো পুলিশ কুকুর ‘ম্যাক্স’
মুম্বই:বয়সজনিত কারণে মারা গেল ‘ম্যাক্স’। মুম্বই পুলিশের গন্ধ শোঁকা কুকুর। ২৬/১১-র সন্ত্রাসবাদী হামলার সময় বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছিল সে। তখন সে মুম্বই পুলিশের বোমা অনুসন্ধান ও নিষ্ক্রিয়কারী বাহিনীর সদস্য। ২০০৮-এর সেই হামলার সময় তাজ মহল প্যালেসের বাইরে থেকে ওই দলকে একটি আইইডি খুঁজে বের করতে সাহায্য করেছিল, ২৫টি হাত গ্রেনেড, ৮ কেজি আরডিএক্সও চিহ্নিত করেছিল ‘ম্যাক্স’, যা ফেটে বিস্ফোরণ হলে আরও মৃত্যু, বিপর্যয় হতে পারত।
নিজের জীবন বাজি রেখে অন্যদের বাঁচিয়ে দেওয়ার অনন্য কীর্তি গড়ে সাহসিকতার জন্য সোনার মেডেল পেয়েছিল এই সাদা ল্যাবরাডর। ওর সাহসিকতার কথা শুনে ওকে মেডেল পরিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন।
‘ম্যাক্স’-এর বিপদ আগাম বুঝে নেওয়ার ক্ষমতার পরিচয় মিলেছিল আগে-পরেও। ২০০৬ সালে ৭/১১-র নাশকতায়, ২০১১-র জাভেরি বাজারের বিস্ফোরণস্থল থেকেও সে বিস্ফোরক উদ্ধারে সাহায্য করেছিল। ১০ বছর মুম্বই পুলিশের হয়ে কাজ করার পর গত বছর অবসর নেয় সে। ২০০৪ সালে জন্ম ‘ম্যাক্স’-এর। অবসর নেওয়ার পর তাকে রাখা হয় মুম্বইয়ের বাইরে বিরার শহরের হোমে। সেখানে আরও ৪০০ কুকুরের সঙ্গেই দিন কাটছিল তার। কিন্তু পরিতাপের কথা হল, অবসর নেওয়ার পর ‘ম্যাক্স’কে কারও মনে পড়েনি। ওকে শেষ বিদায় জানাতে আসেননি একজনও পুলিশ অফিসার। সবাই ব্যস্ত ছিলেন আইপিএল নিয়ে। তাকে সমাধিস্থ করেন হোমের কেয়ারটেকার ফিজ্জা শাহ, প্রাক্তন হ্যান্ডলার সুভাষ গাওড়ে। হোমের অন্য ল্যাবরাডররাও হাজির ছিল। সম্মান হিসাবে জাতীয় পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয় ‘ম্যাক্স’-এর দেহ। অনাড়ম্বরেই চিরঘুমে শায়িত করা হয় তাকে।Max the sniffer dog who saved hundreds of lives by detecting 8 kg of RDX outside Taj Mahal Palace Hotel during 26/11 died at Virar farm home
— Sumit Rane (@sumit_rane07) April 9, 2016
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
শিক্ষা
Advertisement