ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রস্তুতি? বিশেষ বৈঠকে রাহুল গাঁধী, শরদ পওয়ার
নয়াদিল্লি: দু’দিন আগেই ২০টি দলের নেতা-নেত্রীদের নৈশভোজে ডেকে বৃহত্তর মোদী-বিরোধী জোট গঠনের প্রথম ধাপ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন সনিয়া গাঁধী! আর বিরোধীদের একত্রিত করার প্রথম ব্যাক্তিগত উদ্যোগ হিসাবে এবার মায়ের রাস্তায় হাঁটলেন রাহুল গাঁধীও! সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির হারের পরই বুধবার রাতে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের বাসভবনে পৌঁছে যান রাহুল। জানা গিয়েছে, পওয়ার-রাহুলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি প্রধানের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলেও। কংগ্রেস সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে মোদীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের রূপরেখা নিয়ে দু’জনের বৈঠকে আলোচনা হয়! সূত্রের দাবি, শরদ পওয়ারের পর খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন রাহুল। সনিয়ার সঙ্গে মমতার সমীকরণ অত্যন্ত ভাল হলেও, রাহুলের নেতৃত্ব মানা নিয়ে পওয়ার-মমতার মতো আঞ্চলিক হেভিওয়েটদের মনে কি কোনও দ্বিধা আছে? সেই দ্বিধা কাটাতেই কি একের পর এক বৈঠক করতে চলেছেন রাহুল? এই প্রশ্ন যখন উঠছে, তখন রাহুলের সঙ্গে পুরনো বন্ধুত্ব অটুট আছে বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেছেন অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক আগের মতোই আছে থাকবে। আমরা দুজনই তরুণ, আমাদের একসঙ্গে অনেক কাজ করতে হবে। এদিকে, মায়াবতীর সঙ্গে জোট বেধে উপ নির্বাচনে সাফল্যের পর ২০১৯ সালে পাকাপাকি জোট করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইঙ্গিতও এদিন দিয়েছেন অখিলেশ। বলেছেন, অনেক সময় পুরনো কথা ভুলে যেতে হয়। ভাল সম্পর্ক আমাদের সঙ্গে সবার। পাল্টা মায়াবতীও বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপিকে রোখাই তাঁর দলের একমাত্র লক্ষ্য। তাঁর মতে, বিজেপি আরএসএসকে আটকাতে হবে। সব মিলিয়ে ২০১৯-এর আগে হঠাৎ করে জাতীয় রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচনের ফল।