এক্সপ্লোর
Advertisement
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে, উপরমহলের চাপেই বিধানসভার অধিবেশন ডাকছেন না রাজ্যপাল, অভিযোগ গেহলৌতের
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজস্থান হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা বহাল রাখার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌত সাংবাদিক বৈঠকে আগামী সোমবার বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রর কাছে দাবি জানালেন।
জয়পুর: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজস্থান হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা বহাল রাখার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌত সাংবাদিক বৈঠকে আগামী সোমবার বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রর কাছে দাবি জানালেন।
গেহলৌত বলেছেন, আমরা ভেবেছিলাম যে, গতরাতের মধ্যেই রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনের ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। আমাদের অনুরোধ রাজ্যপালের প্রত্যাখানের কোনও কারণই ছিল না। আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে উপরমহল থেকে তাঁর ওপর কোনওরকম চাপ ছিল।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি সোমবারের মধ্যে অধিবেশন ডাকার জন্য আমি রাজ্যপালকে আরও একবার অনুরোধ জানাতে চাই। যাতে আমরা কোভিড পরিস্থিতিতে যে সমস্ত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি, তা নিয়ে আলোচনা করতে পারি, সেই সঙ্গে সভায় যাতে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে পারি।
রাজ্যপালকে নিশানা করে গেহলৌত বলেছেন, রাজ্যপালের আইন মেনে চলা উচিত এবং মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ অনুযায়ী অবিলম্বে অধিবেশন ডাকা দরকার।
তাঁর সমর্থক বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে যান গেহলৌত এবং একযোগে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার আর্জি জানান।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখে রাজ্যপাল অধিবেশন ডাকতে অস্বীকার করেছেন।
গেহলৌত শিবিরের বিধায়করা রাজ্যপালের অফিসেই স্লোগান দিতে শুরু করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বসেছেন, বিরোধীরাও অধিবেশন ডাকার কথা বলছে। আমাদের পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তা প্রমাণ দিতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু মনে হচ্ছে, রাজ্যপালই বেশি উদ্বিগ্ন।
তিনি অভিযোগ করেছেন, যেভাবে কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশে হয়েছে, সেভাবে রাজস্থানেও তাঁর সরকার ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। বিধানসভা অধিবেশনেই সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হলেই সংবাদমাধ্যম ও রাজস্থানের মানুষের সামনে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের মনে হয় হরিয়াণায় থাকা বিধায়করা (সচিন পায়লট শিবিরের) দলে ফিরতে চান। উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য তাঁদের কেউ কেউ যোগাযোগও করেছেন। পুরো ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছে বিজেপি। আমাদের সকলের এখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা। কিন্তু বিজেপি আমাদের সরকার ফেলতে ব্যস্ত।
অধিবেশন ডাকা না হলে রাজভবনের বাইরে গণ প্রতিবাদ হবে বলেও রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ১৪ জুলাই পায়লটকে উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়। তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই মন্ত্রীকেও মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাজস্থান হাইকোর্টে ফের স্বস্তি বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতা পায়লটের। তাঁকে ও তাঁর শিবিরের বিধায়কদের পাঠানো বিধানসভার অধ্যক্ষ সিপি জোশীর নোটিসে ফের স্থগিতাদেশ দিল আদালত। জানিয়ে দেওয়া হল, আপাতত পায়লট এবং তাঁর অনুগামী ১৮ জন বিদ্রোহী বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবেন না অধ্যক্ষ। বরং স্থিতাবস্থা জারি রাখতে বলেছে আদালত। কেন্দ্রকে মামলার একটি পক্ষ করার আর্জি জানান পায়লট। তাঁর সেই আর্জিও গ্রহণ করেছে আদালত।
পায়লট ও তাঁর অনুগামীদের বিধায়ক পদ খারিজ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সচিন ও তাঁর অনুগামীদের কারণ দর্শানোর নোটিস ধরান তিনি। ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু সেই নোটিসকে পাল্টা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানান পায়লট শিবির।
শুনানিতে এর আগে শুক্রবার পর্যন্ত ওই নোটিসে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল রাজস্থান হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান অধ্যক্ষ। কিন্তু বৃহস্পতিবারের শুনানিতে রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার ফের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
Advertisement