হাত গুটিয়ে বসে নেই, সমস্যা মিটে যাবে ১০-১৫ দিনে, প্রশ্নের মুখে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: দেশের গ্রামীণ সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে বাতিল নোট জমা নেওয়ার প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা যায় কিনা, সরকারের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। কেন এই ব্যাঙ্কগুলিকে সামিল করা হয়নি, জানতে চেয়েছে তারা। পাশাপাশি কেন সপ্তাহে ব্যাঙ্ক থেকে ২৪ হাজার টাকা তোলা যাবে বলে আগে সরকার ঘোষণা করলেও তা পালন করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলেও সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
বেঞ্চের বাকি ২ সদস্য হলেন বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। বেঞ্চ জানায়, যদিও দীর্ঘমেয়াদে সুফল মিলবে বলে জানিয়ে নোট বাতিলের পদক্ষেপ কার্যকর করা হচ্ছে, তারা দেখতে চান, মানুষ দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাচ্ছেন। সে কথা মাথায় রেখেই বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগিকে ১৪ ডিসেম্বর সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে সামিল করার ব্যাপারে সরকারের বক্তব্য জানাতে বলে।
সূত্রের খবর, সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখেই কি ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল, এই প্রশ্নও তোলে বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, যখন আপনারা নোট বাতিল নীতি ঘোষণা করলেন, তা কি পুরোপুরি গোপন রাখা হয়েছিল।
যদিও সরকারের নোট বাতিলের ফলে তৈরি হওয়া চলতি পরিস্থিতির ব্যাপারে কোনও আগাম হোমওয়ার্ক ছিল না, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে পেশ হওয়া একাধিক পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র আশ্বাস দেয়, সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে, হাত গুটিয়ে বসে নেই, ১০-১৫ দিনেই সমস্যা মিটে যাবে।
৫০০, ১০০০ টাকার নোট নিষিদ্ধ করে তুলে নেওয়া হলেও পর্যাপ্ত নতুন নোট বাজারে না আসায় মানুষের হয়রানি, সংকট কমছে না বলে ক্ষোভ জানিয়ে মোদীর নোট বাতিলের ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
তবে পাল্টা সরকারের যুক্তি, নোট বাতিলের পদক্ষেপের ফলে সামাজিক অসন্তোষ মাথাচাড়া দিয়েছে, এমন একটি ঘটনাও দেখানো যাবে না। বিরোধিতার পিছনে ওঠা যুক্তি, সওয়ালের উদ্দেশ্য আসলে রাজনৈতিক। পাশাপাশি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আদালতকে এও বলা হয়েছে যে, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারি ভাবে ঘোষণা হওয়ার আগে নতুন নোট ছাপিয়ে তৈরি করে রাখা সম্ভব ছিল না কেননা তাতে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত গোপন রাখা যেত না, তা জানাজানি হয়ে যেত।






















