এক্সপ্লোর
Advertisement
মুলায়ম-অখিলেশ বৈঠকেও মিলল না সমাধান সূত্র
নয়াদিল্লি ও লখনউ: উত্তরপ্রদেশে শাসক দলের পারিবারিক দ্বন্দ্ব মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েও হল না। আজ মুলায়ম সিংহ যাদবের সঙ্গে অখিলেশ যাদবের বৈঠকের পরে সমাধান সূত্র পাওয়া যাবে বলেই মনে হচ্ছিল। সমাজবাদী পার্টি সূত্রে জানা গিয়েছিল, মুলায়ম ফের দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হতে পারেন। উত্তরপ্রদেশে দলীয় প্রধান হতে পারেন অখিলেশ। এভাবেই মিটে যাবে দ্বন্দ্ব। কিন্তু পরে জানা গিয়েছে, ঘনিষ্ঠ সহযোগী অমর সিংহকে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে দলীয় প্রতীক সাইকেলের মালিকানা দাবি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুলায়ম।
সপা-র অভ্যন্তরীণ সংঘাতের মধ্যেই আজ ফের বাবা-ছেলের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা শুরু হয়। লখনউয়ে মুলায়মের সঙ্গে দেখা করতে যান ছেলে অখিলেশ। শিবপাল সিংহ যাদবকেও বৈঠকে ডাকা হয়। দিল্লি থেকে লখনউয়ে পৌঁছে সরাসরি মুলায়মের বাড়ি চলে যান শিবপাল। সমাজবাদী পার্টির প্রতীক সাইকেল কে দখলে নেবে তা নিয়ে বাবা-ছেলের সংঘাতের আবহেই ফের মিটমাটের জল্পনা তুঙ্গে। কালই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মুলায়ম দাবি করেছিলেন, সাইকেল প্রতীক তাঁরই। এর পাল্টা আজ অখিলেশের তরফে মুলায়মের খুড়তুতো ভাই রামগোপাল যাদব নির্বাচন কমিশনে যান। দাবি করেন, অখিলেশ যাদবের দলই আসল সমাজবাদী পার্টি। দলের ৯০ শতাংশ সদস্য তাঁদের সঙ্গে আছে। এদিকে মুলায়ম-অখিলেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছেন যিনি সেই আজম খান আজ দিল্লি পৌঁছন। তাঁরই মধ্যস্থতায় অখিলেশ এদিন সকালে মুলায়মকে ফোন করেন। অখিলেশের এই ফোনের পরই একটি চার্টাড ফ্লাইটে দিল্লি থেকে লখনউ চলে আসেন মুলায়ম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অখিলেশ-সরকারেরই এক মন্ত্রী।
আজম খানও বলেন, সমঝোতার সমস্ত সম্ভাবনাই রয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় সম্মেলন ডেকে অখিলেশকে মুলায়মের জায়গায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি করা হয়। শিবপাল যাদবকে দলের উত্তরপ্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর রামগোপাল যাদবকে দল থেকে বহিষ্কার করলেও মুলায়ম অখিলেশের ক্ষেত্রে তা করেননি। আলোচনার দরজা খোলা রাখতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
আন্তর্জাতিক
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement