ভুয়ো খবর নিয়ে সরকারের নির্দেশ ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থার’ সমান, আক্রমণ তোগাড়িয়ার
নয়াদিল্লি: ভুয়ো খবর ইস্যুতে সাংবাদিকদের স্বীকৃতি বাতিল নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকার তীব্র নিন্দা করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। সংগঠনের দাবি, এই পদক্ষেপ ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থার’ সমান।
সংবাদমাধ্যমকে গণতন্ত্রের ‘চতুর্থ স্তম্ভ’ হিসেবে উল্লেখ করে ভিএইচপি আন্তর্জাতিক কার্যকরি সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া জানান, যে কোনও অছিলায় সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হলে তা নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর হবে।
এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি বলেন, আমরা সরকারের এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। এটা অঘোষিত জরুরি অবস্থা ছাড়া কিছুই নয়। কারও নাম না নিয়ে তোগাড়িয়া জানান, গত ৫২ বছর ধরে যারা এই ধরনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এসেছে, এখন ক্ষমতায় এসে তারাই সেই পথ নিচ্ছে।
তোগাড়িয়ার মতে, এই পন্থা ভয়ঙ্কর। জানান, সংবাদমাধ্যমের কোনও খবরের সঙ্গে একমত হওয়া বা না হওয়াটা সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল। তবে, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ কখনই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, এই ধরনের সিদ্ধান্তগ্রহণ যে কোনও শাসকের মধ্যে ভয়ঙ্কর প্রবণতা। ভয় হচ্ছে যে, এই প্রবণতা সাধারণ মানুষের জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও পভাব ফেলতে পারে। বা যারা মানুষের হয়ে কথা বলে, তাদের ওপরও কোপ নেমে আসতে পারে।
তোগাড়িয়ার আহ্বান, এধরনের স্বৈরাতান্ত্রিক নিয়ম না চালু করতে এবং এধরনের অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের বিরোধিতা সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে।
প্রসঙ্গত, গতকাল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি দেখা যায় সাংবাদিকরা ‘জাল খবর’ প্রচার করছেন তবে তাঁদের স্বীকৃতি বাতিল হয়ে যাবে।
স্মৃতি ইরানির মন্ত্রক বলেছে, প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো যদি সব দিক বিবেচনা করে জানিয়ে দেয়, জাল খবর প্রকাশিত হয়েছে, তবে এমন ঘটনা প্রথম ঘটলে ৬ মাসের জন্য সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের স্বীকৃতি বাতিল হয়ে যাবে, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ১ বছরের জন্য। এরপরেও একই ঘটনা ঘটলে বরাবরের জন্য বাতিল হবে স্বীকৃতি।
যদিও, এদিন প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নির্দেশ আসে, বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে। পিএমও বলেছে, কোনটা ভুয়ো খবর, সে ব্য়াপারে সিদ্ধান্ত নেবে অবশ্যই প্রেস কাউন্সিল ও ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। এরপরই, বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।